TMC Bijaya Someloni: খাসতালুক দক্ষিণের বিজয়া সম্মেলনী থেকেই পুরভোটের প্রচার শুরু তৃণমূলের

পুরভোটের আগে কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়ে। একই দিনে শহরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে মিলিত হলেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, দলীয় পদাধিকারী থেকে কর্মী-সমর্থকরা

ডিসেম্বরে রাজ্যে পুরভোট (Kolkata Corporation Election). কলকাতা ও হাওড়ার মত দুটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পুরভোট দরজায় কাটি নাড়ছে। পুজো মিটতেই এই ভোট-উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়েছে। এই মুহূর্তে যে কোনও নির্বাচনে মধ্য গগণের সূর্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। তাই জয় নিশ্চিত জেনেও আত্মতুষ্টিতে না ভুগে যথারীতি জনসংযোগের কাজে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার বিজয়া সম্মেলনীকে (Bijoya Someloni) সামনে রেখে এই জনসংযোগ শুরু ঘাসফুল শিবিরের। উত্তর ও দক্ষিণ, দুই কলকাতার জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক নেতাদের উদ্যোগে রবিবার হয়ে গেল জোড়া বিজয়া সম্মেলনী। উত্তর কলকাতার (North Kolkata) বিজয়া সম্মিলনী হল বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজোর মাঠে। একই সময়ে দক্ষিণ কলকাতায় (South Kolkata) বিজয়া সম্মিলনী হয় ভবানীপুর তেরাপন্থ ভবনে। উত্তরের দায়িত্বে ছিলেন তাপস রায় (Tapas Roy), দক্ষিণে দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar).

পুরভোটের আগে কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়ে। একই দিনে শহরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে মিলিত হলেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, দলীয় পদাধিকারী থেকে কর্মী-সমর্থকরা। তার আগে গত, বৃহস্পতিবার থেকে পুরভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের প্রতীক চিহ্ন এঁকে দেওয়াল লিখনে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। শুধু ফাঁকা রাখা হয়েছে প্রার্থীর নামের জায়গা।

এদিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে দলীয় নেতাদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ভবানীপুর এলাকার তেরাপন্থ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলন। সেখানে ডাকা হয়েছিল তৃণমূলের জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রধানদের। ডাকা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের সংগঠনের অধীন ৮৩টি ব্লক সভাপতি ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের। তাঁদের উপস্থিতিতে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হবে। তারপরই হবে আরও ১১৬টি পুরসভার নির্বাচন। দল যাকে উপযুক্ত মনে করবে, তিনিই প্রার্থী হবেন। দলের সিদ্ধান্তের উর্ধ্বে কেউ নন।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে লোকসভার সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেক রাজনৈতিক কর্মীর মধ্যে থাকা উচিত। তবে সেই ইচ্ছা পূরণ না হলে জেহাদ করাও কোনও ভাল রাজনৈতিক কর্মীর কাজ নয়। কারণ, আমাদের সব ইচ্ছে পূরণ হবে এমন কোনও শর্ত নেই।বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁদের আস্থা। তাই রাজনৈতিক খিদে পূরণ না হলে আপনারা কোনও পদক্ষেপ করলে মানুষ আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। তাই বিরূপ পরিস্থিতিতে এমন কোনও সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ করার আগে চারবার চিন্তা করবেন।’’

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দক্ষিণ কলকাতার নেতৃত্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘অনেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন ছোট লালবাড়ি দখলে এলেই বড় লাল বাড়ি দখল সম্ভব। এখন আমরা বলছি ছোট লালবাড়ি দখলে থাকলেই এ রাজ্যের তৃণমূলের প্রভাব থাকবে। তাই আপনাদের উদ্দেশে বলব ছোট লালবাড়ির দখলে ভাল ফল করতে আপনারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন।’’

সম্মেলনে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‘এখন রাজ্যের তৃণমূল ছাড়া কোথাও কোনও রাজনৈতিক দল নেই। এমনটা ভেবে অনেকেই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। আমি দক্ষিণ কলকাতার কথা বলছি না। রাজ্যের কোথাও কোথাও এমন ভাবনা এসেছে। এমন ভাবনার মানে আপনার মধ্যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এসেছ।তৃণমূল ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য ক্ষমতায় আসেনি। মানুষকে পরিষেবা দিন। কাজ করুন। জানি বহুবার বহুরকম ভাবে মানুষ আপনাদের বিরক্ত করবে। কিন্তু তাদের ব্যবহারে বিরক্ত না হয়ে তাদের কাজ করে দিন, সেবা দিন। তবে আমরা দীর্ঘদিন এ রাজ্যে নিজেদের দলকে ক্ষমতায় রাখতে পারব।’’

আরও পড়ুন- পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরা যাচ্ছেন ইন্দ্রনীল-জুন-ফিরহাদ

 

 

 

 

 

 

 

Previous articleপুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরা যাচ্ছেন ইন্দ্রনীল-জুন-ফিরহাদ
Next articleIndia-New Zealand T20: ভারত-নিউজিল‍্যান্ড টি-২০ ম‍্যাচের হাত ধরে আবারও ইডেনে ফিরছে দর্শক