“এক ব্যক্তি এক পদ” সমর্থন করে না তৃণমূল, স্পষ্ট করলেন ফিরহাদ হাকিম

বিভ্রান্তি এবং অস্বস্তি এড়াতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী-মেয়র তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম

হঠাৎ পুরভোটের মুখে তৃণমূলে ”এক ব্যক্তি এক পদ বিতর্ক” (One Person One Post in TMC) মাথাচাড়া। দিয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের (TMC) বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীরা দলের মধ্যে “এক ব্যক্তি এক পদ” লাগু করার স্বপক্ষে পোস্ট করছেন। ফেসবুক, ট্যুইটারে “এক ব্যক্তি এক পদ নীতি” প্রণয়নের দাবিতে সরব হন রাজ্য এবং জেলাস্তরে তৃণমূলের পরিচিত বেশ কয়েকটি মুখ। এমন কী, রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও এই ট্যুইটারে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সমর্থনে স্লোগান সহ ছবি দেন৷ এবং সেই দেখাদেখি তৃণমূলের বহু সাধারণ কর্মীসমর্থকও এমন পোস্ট করতে থাকেন। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শুধু নয় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বেরও নজর এড়ায়নি৷

বিভ্রান্তি এবং অস্বস্তি এড়াতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী-মেয়র তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে মূলত দলনেত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবকেই তুলে ধরেন ফিরহাদ।

এদিন ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে জানান, “তৃণমূল এক ব্যক্তি এক পদ নীতি (One Person One Post) সমর্থন করে না৷ পুরনো কিছু ক্লিপিংস নিয়ে যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের পোস্ট করছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের মতো দলীয় কর্মীদেরও বিভ্রান্ত করছেন৷ নেত্রীর মুখে কথা বসিয়ে এমন পোস্ট অন্যায়, দলের স্বার্থ বিরোধী। দলের নির্বাচিত সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই শেষ কথা।”

দলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই ধরনের পোস্ট করে থাকলে অনুরোধ করব তা দ্রুত সরিয়ে নিন৷ এক ব্যক্তি এক পদ নীতি তৃণমূল সমর্থন করে না৷ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই ধরনের পোস্ট না সরালে দল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে৷ দলের স্বার্থে এটা হচ্ছে না৷ দলের স্বার্থে দলের মধ্যেই কথা বলতে হবে৷ দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কারণ, তিনি দলের নির্বাচিত চেয়ারপার্সন৷”

অন্যদিকে, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “কোথায় কে কি লিখছে বা বলছে জানি না। আমাদের দলের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে একতা এবং সংহতি তাঁর হাত ধরেই।”

আরও পড়ুন:আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে অসম

Previous article চার পুরসভার ভোটে রাজ্য পুলিশেই আস্থা কমিশনের
Next articleমুকুল রায় আছেন বিজেপিতেই, বিরোধীদের পিটিশন খারিজ অধ্যক্ষের