২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই হরিদেবপুর কাণ্ডে পুলিশের জালে গ্রেফতার ৪। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল, স্বপন মিত্র, ভৈরব বসু, অজিত দাস, এবং বাবলু দলুই৷ ধৃতদের রবিবারই আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন:Chit Fund: বিত্তশালীদের টোপ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত সুরানা গ্রুপ ফান্ড
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে,স্বপন মিত্র এবং ভৈরব বসুর সঙ্গে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। কারণ, ভৈরব এবং বিশ্বজিৎ দু’জনেই অটোর ফিনান্সার। আর এই ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে স্রেফ ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই পরিত্যক্ত অটোটিতে বোমা এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল। এই কাজে বাবলু এবং অজিত তাঁদের সাহায্য করেন৷ কাজ করতে স্বপনকে টাকা দেয় ভৈরব। টাকা পেয়ে অজিত দাসের কাছে অস্ত্র কেনে স্বপন। এদের সবাইকে জেরা করে খোঁজ মেলে অস্ত্র কারবারি অজিত দাসের। স্বপন অজিতের কাছ থেকে ওয়ান শর্টার বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। ওই অস্ত্রশস্ত্র কেনার টাকাও ভৈরবই দিয়েছিল ।
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অস্ত্রশস্ত্র এবং বোমা মজুত করে তারা। ওই ব্যাগটি সঙ্গে নিয়ে স্বপন মিত্র এবং সোনু অটোটির কাছে যায়। স্বপনের বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে যায় তারা। প্লাস্টিকের ব্যাগটি অটোয় রেখে আসে। জানা গিয়েছে,বহুদিন ধরেই ব্যবসয় মন্দা চলছিল ভৈরবের। অন্যদিকে বিশ্বজিতের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল। বিশ্বজিতের ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটায় তারা । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বেশ কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত শনিবার গভীর রাতের সিসিটিভি ফুটেজে একটি বাইকে চড়ে দু’জনকে আসতে দেখে পুলিশ। শনিবার সকালে হরিদেবপুর এলাকার ৪১ পল্লি ক্লাবের সামনে একটি পরিত্যক্ত অটোর মধ্যে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি তাজা বোমা। এছাড়াও একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দু’টি কার্তুজ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই তা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে জায়গায় ওই অটোটি রাখা ছিল সেই জায়গাটি একটি আর্থিক সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তারা ঋণখেলাপি অটো বাজেয়াপ্ত করে সেখানে রাখত। এরপর অটোর ভেতরে এওত পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র কে বা কারা রেখেছিল, তার তদন্ত করতেই উঠে আসে নয়া তথ্য।
