রাজ্য বিজেপির চলমান মুষল পর্বে নয়া সংযোজন। এবার বেসুরো বাংলার আরও এক বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। ঝাড়গ্রামের সাংসদ জেলা সংগঠন নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কুনার হেমব্রমের স্পষ্ট কথা, ‘দলের জেলা সংগঠন নিয়ে নির্দিষ্টভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এখনও পর্যন্ত তার কোনও লিখিত জবাব পাইনি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে যদি এব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতাদের চিঠি লিখব।’ তাঁর এমন মন্তব্যে পরিস্কার, দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়েছেন কুনার হেমব্রম।
আরও পড়ুন: Kamala Harris:করোনা আক্রান্ত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস
অর্থাৎ, অমিত শাহের বঙ্গ সফর যত এগিয়ে আসছে, ততই দলের অন্দরে বাড়ছে বিদ্রোহীদের সংখ্যা। এই মুহূর্তে বাংলায় গেরুয়া শিবিরে একাধিক লবি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ বঙ্গ বিজেপি। একইসঙ্গে লকেট, সৌমিত্র, অর্জুনদের মতো সাংসদরাও কার্যত দল বিমুখ। দিলীপ ঘোষ নিজের রেলায় রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রকাশ্যে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার দলের কিছু বিধায়ককে নিয়ে সমান্তরাল সংগঠন করছেন। সবমিলিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে এখন তথৈবচ অবস্থা। তারই মাঝে ঝাড়গ্রামের দলীয় সাংসদ কুনার হেমব্রমের হুঁশিয়ারি মুষল পর্বে অন্যমাত্রা যোগ করেছে।
কুনার হেমব্রম জানিয়েছেন, জেলা সংগঠনের সমস্যাগুলি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের হেলদোল না দেখে তিনি এপ্রিলের গোড়ায় দিল্লিতে সংসদ অধিবেশনের ফাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে জেলা সংগঠন নিয়ে তিনি।কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও এব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের কাছে কোনও রকম লিখিত নির্দেশিকা আসেনি।
এবার দলীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে সরাসরি হুঁশিয়ারির সুরে কুনার হেমব্রম জানান, জেলা সংগঠনের পরিস্থিতি যদি দ্রুত না শুধরোয়, তাহলে আর সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করবেন। তারপর পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আরেকবার জানাবেন। তাতেও কাজ না হলে ঝাড়গ্রামের সাংসদ অন্যরকম চিন্তাভাবনা শুরু করবেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে কুনার হেমব্রম জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে পার্টির ভবিষ্যত অন্ধকার। সমস্যার সমাধান না হলে বিজেপি ত্যাগেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন কুনার হেমব্রম।
