শেষ বয়সে ঘর ছাড়া হতে হল নবতিপর পদ্মশ্রী শিল্পীকে। ওডিশি নৃত্যশিল্পী গুরু মায়াধর রাউতকে ঘর ছাড়া করা হল। পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত ৯০ অতিক্রান্ত ওই শিল্পীকে সব জিনিষপত্র নিয়ে কার্যত ঘর থেকে বের করে দেওয়া হল। কারণ ২০১৪ সালে ওই ঘরে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে তাঁর। অভিযোগ বারবার বলা সত্ত্বেও ঘর ছাড়েননি শিল্পী। আর এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে সব মহলে। এদিকে শিল্পী মায়াধর রাউতের কন্যা মধুমিতা রাউত জানিয়েছেন তাঁর বাবা অত্যন্ত অসুস্থ। এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মত তাঁর।
তবে শুধু গুরু মায়াধর রউতকেই নয় আরো ৮জন নামী শিল্পীকে ২ মের মধ্যে সরকারি আবাসন খালি করার নোটিস ধরিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বহু বছর আগে এই শিল্পীরা সরকারি কোটায় বাড়ি পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে সেই আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে তাদের । তার পরেও তাঁরা সরকারি আবাসন ছাড়েননি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের তরফে বহুবার তাঁদের নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা ঘর খালি করেননি বলে জানা গিয়েছে।
১৯৮৭ সালে মাসিক আয় ২০ হাজারের কম এমন ২৮ জন শিল্পীর জন্য বাড়ির বন্দোবস্ত করেছিল তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। কিন্তু বর্তমান সরকারের দাবি, ওই শিল্পীদের ২০১৪ সালে সরকারি আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তার পরেও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। বরং বাড়ি না ছাড়ার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরু মায়াধর রাউত, শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী রীতা গঙ্গোপাধ্যায়, মোহিনীআট্যম শিল্পী ভারতী শিবাজি, কুচিপুরী শিল্পী গুরু ভি জয়রাম রাও, মায়াধার রাউতরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এপ্রিলের শেষে তাঁদের সরকারি আবাসন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে সকলেই ঘর খালি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন।