উদয়পুর কাণ্ডের ঘটনায় আগেই সামনে এসেছিল পাকিস্তানি জেহাদি-যোগ ৷ এই গোষ্ঠীই কি 26/11 মুম্বই হামলার চক্রী ? উদয়পুরের ঘটনার তদন্তে সাম্প্রতিকতম যে তথ্য তদন্তকারীদের সামনে এসেছে, তাতে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই ৷ কারণ, নূপুর শর্মার বক্তব্যের সমর্থনে পোস্ট করায় দর্জিকে খুনের পর যে বাইকে করে দুই অভিযুক্ত পালিয়েছিল, তার নম্বর প্লেটে জ্বলজ্বল করছে 2611 সংখ্যাটি (Udaipur murder accused fled in bike with 2611 as number plate) ৷
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বাইকে বিশেষ নম্বর প্লেটও বসিয়েছিল উদয়পুরের নৃশংস অত্যাচারের মূল অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারি। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর হামলা হয়েছিল মুম্বইতে। হামলার নেপথ্যে ছিল পাক জেহাদি গোষ্ঠী লস্কর-এ-তইবা। রিয়াজের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ওই পাক জেহাদি গোষ্ঠীর।

মঙ্গলবার উদয়পুরে দরজি কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে অত্যাচার করে রিয়াজ এবং তার সঙ্গী গোস মহম্মদ। তার পর বাইকে চেপে চম্পট দেয়। সেই বাইকের নম্বর ‘আর জে ২৭ এ এস ২৬১১’। উদয়পুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে রাজসমন্দ জেলায় পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে দু’ জন। রিয়াজের সেই বাইক এখন রাজস্থানের ধানমান্ডি থানায়। তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বাইকটি কিনেছিল রিয়াজ। ২০১৪ সালে তার বিমার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। রিয়াজের পাসপোর্টের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে সে নেপাল যায়। তখন থেকেই সে কিছু একটা ছক কষছিল। তার মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে জানা গিয়েছে, প্রায়ই পাকিস্তানে ফোন করত রিয়াজ।

৪৬ বছরের কানহাইয়ার শরীরে ২৬টি ক্ষত মিলেছে। ভয়াবহ ওই নৃশংস অত্যাচারের ভিডিয়ো তোলে রিয়াজরা। পরে সেটি নেটমাধ্যমে পোস্ট করে। এই ঘটনার পর উদয়পুরের আইজি, পুলিশ সুপার-সহ ৩২ জন পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। জারি করা হয় কার্ফু।

আরও পড়ুন:ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো গোটা উত্তরবঙ্গ
