অমরনাথের (Amarnath) মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) টুইট করেছিলেন আগেই। এবার সেখানে আটকে থাকা বাঙালি পূণ্যার্থীদের ফিরিয়ে আনতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি। ইতিমধ্যেই আটকে পড়া বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন(০৩৩-২২১৪৫২৬)। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম(ControlRoom)। রাজ্য সরকারের তরফে এবার জানা গেল, অমরনাথে ওই দুর্ঘটনার জেরে সেখানে আটকে পড়েছেন বাংলার ২৮ জন পূণ্যার্থী। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দ্রুত সকলকে ফিরিয়ে আনতে সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যসরকার।

অমরনাথে দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সেখানে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের সাহায্যে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি জানান, “অমরনাথ বিপর্যের ঘটনায় আমি হতবাক ও শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আটকে পড়া পুণ্যার্থী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানাই। নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (০৩৩-২২১৪৫২৬), আমাদের দিল্লি রেসিডেন্স অফিসকে সক্রিয় করা হয়েছে, বাংলা থেকে তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমাদের আটকে পড়া পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্য করা হবে”। মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় এরপর প্রকাশ্যে আসে সেখানে আটকে পড়া বাঙালি পর্যটকদের তালিকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া, বীরভূম, কলকাতা থেকে ১ জন করে, দক্ষিন ২৪ পরগনা থেকে ৭ জন, হাওড়া থেকে ১২ জন ও জলপাইগুড়ি থেকে ৬ জন, মোট ২৮ জন আটকে রয়েছেন অমরনাথে। এনাদের মধ্যে দক্ষিন ২৪ পরগনার বর্ষা মহুরি নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ওই দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে সকলকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না রাজ্য প্রশাসন।


উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অমরনাথের গুহার উপর থেকে হঠাৎ করেই হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। এর জেরে তীর্থযাত্রীদের অস্থায়ী তাঁবুগুলি ভেসে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে লাগাতার তল্লাশি চলছে। সঙ্গে চলছে উদ্ধারের কাজ। ফের শনিবার বৃষ্টি নামায় উদ্ধারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অমরনাথে নিখোঁজ পূণ্যার্থীদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য এনডিআরএফ-এর (NDRF) তরফে ২টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। ১৫০০০ জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনও নিখোঁজ ৪০ জন।
