ঝাড়খন্ডের হর্সট্রেডিং কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। ফের সামনে উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, খেপে খেপে টাকার হাতবদল অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। ৩০ জুলাই প্রথমবার টাকা হাতবদল হয়নি। তারও সপ্তাহখানেক আগে প্রথম টাকার লেনদেন হয়েছিল ২১ জুলাই। সেদিন কলকাতায় আসেন ইরফান ও রাজেশ কাচ্চপ নামে দুই শেয়ার ব্যবসায়ী। ওইদিনই ৭৫ লক্ষ টাকা বিধায়কদের হাতে দিয়েছিল তারা।

ঠিক সেই জায়গা থেকেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২১ জুলাই প্রথম লেনদেনের ঠিক আগেরদিন ২০ জুলাই অসমের গুয়াহাটিতে এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের দুই কংগ্রেস বিধায়ক। যেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সিদ্ধার্থ মজুমদার হাজির ছিলেন।
ঝাড়খন্ডে সরকার ফেলার ”ষড়যন্ত্র” মামলায় ইতিমধ্যেই সিদ্ধার্থ মজুমদারের নামে লুক আউট সার্কুলারও জারি করেছে সিআইডি। ধৃত তিন বিধায়ককে জেরা করেই উঠে আসে সিদ্ধার্থ মজুমদারের নাম। ২০ জুলাই ও গত শুক্রবার গুয়াহাটিতে যে বৈঠকে হয়, সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ছিলেন দিল্লির বাসিন্দা সিদ্ধার্থ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় নাকা চেকিং চলার সময় কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙার জন্যই প্রাথমিক ওই টাকার লেনদেন হচ্ছিল। এক কংগ্রেস বিধায়ক স্বীকার করেছেন সরকার ভাঙার জন্য তাঁকে ১০ কোটি টাকা টোপ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন:অমরশিল্পীর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট মমতার
