কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে সরকার

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় এই প্রস্তাবটি আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হচ্ছে‌।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় এই প্রস্তাবটি আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হচ্ছে‌।

কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা তদন্তকারী সংস্থাগুলি যেমন, সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকেও এই ভাবে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল তথা বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার কাজ শুরু করেছে তারা।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে যেখানে বিরোধীদের সরকার আছে, সেখানে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই প্রথম বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে।”প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রথম সারির তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ ছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি জেরা করেছে ইডি।

বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকেও জেরার জন্য বার বার তলব করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার সেই ক্ষোভের প্রভাব পড়তে চলেছে বিধানসভার অধিবেশনে। যে কারণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন মুলতবি হয়ে গেলে তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে পরিষদীয় দলের তরফে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকেই নিন্দা প্রস্তাবের দিন সব বিধায়কের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার সেই ক্ষোভের প্রভাব পড়তে চলেছে বিধানসভার অধিবেশনে। যে কারণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন মুলতবি হয়ে গেলে তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে পরিষদীয় দলের তরফে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Previous articleআমার নাম করে কেউ প্রভাবশালী হবে, বরদাস্ত করব না: কড়া হুঁশিয়ারি শোভনদেবের
Next articleবিজেপির নবান্ন অভিযানের খরচ প্রায় ১২ কোটি: কাঞ্চনমূল্যে কর্মসূচি সফল করার উদ্যোগ!