Saturday, August 23, 2025

দেবজিৎবাবুর মতো পুলিশকে স্যালুট, আমি থাকলে গুলি করতাম, বিজেপি গুন্ডাদের হুঁশিয়ারি অভিষেকের

Date:

Share post:

বিজেপির নবান্ন অভিযানে গুরুতর আহত পুলিশ আধিকারিককে দেখতে বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে যাব সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উডবার্ন ওয়ার্ডে কলকাতা পুলিশের কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখেন অভিষেক। কথা বলেন সেখানে উপস্থিত তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। এরপর বাইরে বেরিয়ে আর ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। অভিষেক বলেন, “আমি দেবজিতবাবুর সঙ্গে দেখা করে ওনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করলাম। দেবজিৎবাবুকে স্যালুট। উনি সংযম, সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কাল ওনার উপর যে ধরণের বর্বরোচিত আক্রমণ হয়েছে, সেই জায়গায় আমি থাকলে (যদিও অভিষেক মাথা শব্দটি উচ্চারণ করেননি। তিনি কথা বলার সময় হাত দিয়ে কপাল দেখান) গুলি চালাতাম।”

বিজেপির নবান্ন অভিযানের নামে আসলে পরিকল্পিতভাবে হিংসা ও অশান্তি পাকিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কারও আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু বিজেপি যেটা করেছে সেটা আন্দোলনের নামে গুন্ডামি, মস্তানি। হাতে একটি লাঠি পর্যন্ত ছিল না। এমন একজন নিরস্ত্র পুলিশ আধিকারিককে একা পেয়ে যেভাবে দল বেঁধে মারা হয়েছে, তাতে পুলিশ কি গুলি চালাতে পারত না? সেটাই তো পুলিশের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল। কিন্তু তা না করে যারা আন্দোলনে সামিল হতে এসেছিল, তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিমেষের মধ্যে সব ঠান্ডা করা যেত, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারত। যেভাবে পুলিশের উপর পরিকল্পিতভাবে পাথর, ইট ছুঁড়েছে, সেটা বর্বরতা। লোহার রড দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। লোহার রডে দলের পতাকা লাগিয়ে এনেছিল। পরে পতাকা খুলে ফেলে সেই রড দিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে।”

কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে পুলিশ যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “পুলিশ সংবেদনশীলতা, ধৈর্য, সংযমের পরিচয় দিয়েছে। গুলি চালানো পুলিশের কাছে খুব সহজ কাজ ছিল। সিপিএম আমলে পুলিশ হলে গুলি চালিয়ে দিতো। এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। পুলিশের সাহসিকতার জন্যই আজ দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা।”

অভিষেকের আরও দাবি, অশান্তি পাকাতে পরিকল্পিতভাবেই নবান্ন অভিযানে হিংসা ছড়িয়েছে বিজেপি। যে ইস্যু নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল, তার একটিও পোস্টার, ব্যানার দেখা যায়নি। একটিও স্লোগান হয়নি। ইস্যু নিয়ে কোনও কথা বলেননি নেতারা। আসলে কী করে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করা যায়, কী করে বাংলার শান্তি শৃঙ্খলা, সম্প্রীতিকে নষ্ট করা যায় সেই চেষ্টা করেছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোনও ভাষা আমার কাছে নেই।”

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার।
বিজেপি করে বলে যা ইচ্ছে তাই। বিজেপির এই হিংসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে ভরসা উঠে যাবে মানুষের। পেট্রোল কোথা থেকে এলো? সেখানে তো কোনও পেট্রোল পাম্প ছিল না। আসলে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়িয়েছে। কোনও ইস্যু নিয়ে কথা নেই। গুন্ডামি মস্তানি করেছে। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন হবে সেটা হোক, কিন্তু গুন্ডামি বরদাস্ত নয়। সিপিএম কোনও বিবৃতি দেয়নি। আসলে সিপিএমের হার্মাদরাই এখন জার্সি বদলে বিজেপিতে। সংবাদ মাধ্যমকেও বলবো, যারা জড়িত তাদের কোনও তথ্য থাকলে প্রশাসনকে জানান।”

 

spot_img

Related articles

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...

হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পেল স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওডিএফ প্লাস’ সার্টিফিকেট 

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক দুই শহর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওপেন ডিফেকেশন ফ্রি প্লাস’ (ওডিএফ প্লাস)...

ফের ডুরান্ড কাপ জয় নর্থইস্টের

প্রতিযোগিতায় দুরন্ত শুরুটা করলেও শেষরক্ষা করতে পারল না। একটানা ম্যাচ। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের(North East United) বিরুদ্ধে খানিকটা ক্লান্তিটাই যেন...