চরম আর্থিক সমস্যায় (Financial Crisis) জেরবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। রাজ্যের অধীনস্থ এই বিশ্ববিদ্যালয় একক দক্ষতায় বিশ্বের দরবারে রাজ্যকে সম্মানিত করেছে। আর সেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ই বর্তমানে চরম অর্থ সংকটে ভুগছে। তবে শুক্রবারই রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সরকারি অনুদান (Government Grants) না পাওয়ার কারণেই চরম অর্থ সংকট মাথাচাড়া দিয়েছে রাজ্যের এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য একাধিকবার অনুদান চেয়ে চিঠি লিখলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাক্তনীদের কাছে অর্থ সহায়তার অনুরোধও জানিয়েছেন। ২৪ অক্টোবর উপাচার্য (Vice Chancellor) সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das) গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমিনি ফাউন্ডেশনকে (Global Jadavpur University Alumini Foundation) লেখা তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের (Improvement) জন্য প্রয়োজন সেই পরিমাণ অর্থ কেন্দ্র ও রাজ্য থেকে আসছে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আর্থিক সংকটের (Financial Crisis) জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কাজে বড় সমস্য়া হতে পারে। যার মাসুল গুনতে হতে পারে মেধাবী পড়ুয়াদের। কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষার উল্লেখযোগ্য পীঠস্থান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই মিলছে না পর্যাপ্ত অর্থ। আর এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তনীদের অনেকেই। বৃহস্পতিবারই QS World Ranking-এ স্বীকৃতি পেয়েছে যাদবপুর। সাসটেনেবিলিটি ফোকাসিং অন এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। তার মধ্যেই এমন খবরে উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল। তবে সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিচালনাতেও এবার সমস্যা হতে পারে। সব মিলিয়ে এবার প্রাক্তনীদের আর্থিক সহায়তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে এই সমস্যা বেশি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন উপাচার্য।

তবে শুধু উপাচার্য সুরঞ্জন দাসই নয়, আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আধিকারিক গৌর কৃষ্ণ পট্টনায়কের হাউস জার্নালে লেখা নিবন্ধেও অর্থ সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি লেখেন, ২০১৭-র পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান (UGC Grant Commission) বলতে গেলে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার অর্থ সাহায্য করলেও তা যথোপযুক্ত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সেল্ফ ফিন্যান্স কোর্স (Self Finance Course) থেকে আয়ের উপর ভরসা করে চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনার পর সেই খাতে আয়ও কমেছে। ফলে অনেক জরুরি প্রয়োজনে অর্থ খরচের উপর বিশ্ববিদ্যালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে।
