Monday, August 25, 2025

‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া বিজেপি কর্মীকে লাথি সুভাষের! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে নিন্দার ঝড়

Date:

Share post:

পায়ের তলায় মাটি নেই। জনবিচ্ছিন্ন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তাঁদেরই দলের কর্মী-সমর্থকরা। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করলে চড়াও হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! এমনকী, লাথি মারতেও পিছুপা হচ্ছে না! এমনই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar) ‘গো ব্যাক’ (Go Back) বলা কর্মীকে শুধু লাঠি পেটা করাই নয়, রীতিমতো লাথি মারলেন তিনি! যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার, মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গে বাঁকুড়ায় যান সুভাষ সরকার ও সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুর মোড়ের একটি বেসরকারি লজে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বেলা ২টো নাগাদ বাইরে বেরোতেই সুভাষকে উদ্দেশ্য় করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপিরই কর্মী দীপক চক্রবর্তী (Dipak Chakraborty)। এরপরেই চূড়ান্ত অসহিষ্ণুতার পরিচয় দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। দীপককে মাটিতে ফেলে প্রবল মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, দীপকের হাত থেকে পতাকা ছিনিয়ে সেই লাঠি দিয়ে তাঁকে মারা হয়। এরপর সুভাষ সরকারকে দেখা যায় দীপককে লাথি মারতে। আঙুল উঁচিয়ে দীপককে হুমকিও দেন তিনি। সেই নিন্দনীয় ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’। দীপক হাতজোড় করে বারবার ক্ষমা চাইলেও থামেনি মারধর।

এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। দলে বিরুদ্ধ মত থাকতেই পারে। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভও তৈরি হতে পারে। গণতান্ত্রিক উপায়ে আলোচনা করে সেই সমস্যার সমাধান করাটাই দলীয় নেতৃত্বের কাজ। অথচ সেটা না করে দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! এই থেকেই বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা প্রকাশ পায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দিল্লির নেতাদের উন্নাসিকতা, ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দলের পতাকা হাতে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীকে লাথি মারতেও দুবার ভাবছেন না নেতা!

তাদের কর্মী নন বলে বিজেপি হাতধুয়ে ফেলতে চাইলেও, গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরের বাসিন্দা দীপক নিজে জানিয়েছেন, এই সুভাষ সরকারকে লোকসভা নির্বাচনে জেতানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন তিনি। কিন্তু ভোটের পর এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি বিজেপি সাংসদ। সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তিনি। দীপকের কথায়, ‘‘আমি আগেও বিজেপি কর্মী ছিলাম। আজও আছি। সুভাষ সরকারকে জেতানোর জন্য অনেক খেটেছি। কিন্তু জেতার পর এলাকার জন্য কোনও কাজ করেননি সুভাষ। তিনি যাতে এলাকায় দ্বিতীয় বার না আসেন, তাই গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছি।’’ আর তার বদলে তার কপালে জুটেছে বেদম মার। এই জনসংযোগ আর জনভিত্তি নিয়েই কী বঙ্গে ভোট জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি!

 

 

 

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...