একের পর এক দুর্যোগ দিঘা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় ঘনিয়ে এনেছে দুর্যোগের ঘনঘটা। তবু ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে দিঘা। আর তারই পরিদর্শনে গেলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যখন শুভেন্দু অধিকারী সেচমন্ত্রী ছিলেন তখন বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার উন্নয়নের ।কিন্তু কাজের কাজ কিছু যে হয়নি তা গিয়ে প্রত্যক্ষ করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। স্থানীয় মানুষ সরাসরি অভিযোগ করেন তৎকালীন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, সেচমন্ত্রী থাকাকালীন শুভেন্দু বারবার এলাকার উন্নয়নের জন্য কথা বলেছেন। কিন্তু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি সার, আর তার দেখা পাওয়া যায়নি। আমরা যে তিমিরে আছি সেই তিমিরেই আছি।
বিপুল সংখ্যক মানুষের দুর্দশা দেখে রবিবার সকালে সেই জায়গা থেকে কুণাল সরাসরি ফোন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। তিনি কথা দিয়েছেন, চলতি মাসের ১৪ ডিসেম্বর তিনি এলাকা পরিদর্শনে আসবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
দিঘা মোহনার কাছে মৈত্রাপুর মৎস্য খটিতে মৎসজীবীদের সাথে একটি চায়ের আড্ডায় রবিবার সকালে যোগ দেন কুণাল । উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। সেখানে মৎসজীবীদের অভাব অভিযোগ শুনলেন কুণাল।
আলোচনা একটা জিনিস স্পষ্ট হল যে মূল সমস্যা মোহনা সংলগ্ন চম্পা নদীর পাড়ে ভাঙন। অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে । একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে তবু সেচ দফতর কাজ করেনি। এখন সেই কাজে এগিয়ে এলেন কুণাল। চায়ের আড্ডা সেরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে ঘুরে দেখলেন ভাঙন এলাকা। সংকটজনক এলাকা দেখে সেচ দফতরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। আগামী ১৪ ডিসেম্বর দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ভাঙন পরিদর্শন আসবেন বলে জানালেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
আরও পড়ুনঃ আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, তদন্ত শুরু ফিফার
পুরো এলাকাটাই মৎস্যজীবি পরিবারের বাস। আর সেখানে চলছে মাছ প্রসেসিং এর কাজ। শুঁটকি মাছের আড়তের মধ্যে দিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করতে করতে চোখে পড়লো চম্পা নদীর পাড়ে এক মৎসজীবির অস্থায়ী বাড়ি। তার সাথে কথা বলেন এবং সেই বাড়িতে থাকা নিয়ে সতর্কও করেন তিনি।
দ্রুত যাতে এই এলাকার অবস্থার পরিবর্তন হয় সেই বিষয়ে চেষ্টা করবেন তিনি, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে মৎস্যজীবীরাও দিন গুণছেন পট পরিবর্তনের।