কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির ফলে সমস্যার সম্মুখীন বাংলার তাঁত শিল্পীরা।অভিযোগ, মোদি সরকার একতরফা তুলো রফতানি করছে।যার ফলে ক্রমেই বাড়ছে সুতোর দাম, ভুগছেন তাঁত শিল্পীরা। কেন্দ্রের এই ভ্রান্তনীতির বিরুদ্ধে শুক্রবার শান্তিপুর স্টেডিয়ামে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত সারা বাংলা তৃণমূল তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে প্রতিবাদে সরব হলেন ২ হাজার শ্রমিক।এরই পাশাপাশি, এদিন তাঁত শিল্পীদের সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়।এদিনের সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী প্রমুখ।

মধ্যস্থতাকারীর বদলে তাঁতিদের সমবায় থেকে সরাসরি বস্ত্র কেনা হলে তাঁদের লাভ বাড়বে বলে মত পোষণ করেন একাধিক বক্তা।আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সম্মলনের এই মডেল আমরা শুরু করেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায়। হলদিয়া দিয়ে শুরু। এরপর চা-বলয়ে শ্রমিক সমস্যার সমাধানেও হয়েছে সম্মেলন। এবার তাঁত শিল্পীদের জন্য। এই সম্মেলনে ১৭ জন তাঁত শিল্পী তাদের সমস্যার কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্য রাজ্যসরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

কেন্দ্রকে তুলোধনা করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পুঁজিপতিদের ঋণ মকুব করেছে কিন্তু শ্রমিকদের কথা ভাবছে না। তাঁত শিল্পীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা নিয়ে বামফ্রন্টকে তীব্র কটাক্ষ করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। বলেন, দীর্ঘ ৩৪ বছরে সমবায় আন্দোলনের কথা বললেও আদতে এ নিয়ে ভাবেনি সিপিএম। যার ফলে রাজ্যে যেকটি সমবায় রয়েছে তার মধ্যে ৭৫ ভাগ সমবায় অকেজো হয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হল সমবায়গুলিকে আবার চাঙ্গা করে তোলা।রাজ্য সরকার তাঁত শিল্পীদের আইকার্ড তৈরি করছে। এর মাধমে আমরা তাঁত শিল্পীদের সঠিক হিসাব পাব।
