কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের রাজ্যে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের রাজনৈতিক ঘাটতি দেউলিয়াপনা ঢাকতে এগুলো করছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলে যারা আসছেন তাদের আমরা রাজনৈতিক পর্যটক বলে মনে করছি। শীতের বাংলায় তারা আসবেন, ঘুরবেন, কুৎসা করাটা তাদের কাজের মধ্যে পড়ে।

কুণাল এদিন স্পষ্ট বলেন, আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাবার নাম কী করে আবাস যোজনা তালিকায় আসে ? বিধায়কের আত্মীয়র নাম কী করে আসে ? বিজেপি যেখানে আছে সেই অন্য রাজ্যের দুর্নীতিগুলো আগে দেখুক।এরা রাজনৈতিক পর্যটক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সফর বলেই আমরা মনে করছি।

বন্দে ভারতের ওপর ইট-কাঠ-পাথর যাই ছোড়া হোক না কেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন কুণাল। কিন্তু দেখতে হবে কেন হচ্ছে কোথায় হচ্ছে। কারণ, বাংলা এসব করে না। তাহলে কী বিজেপিরই কেউ এটা করাচ্ছে ইস্যু তৈরির জন্য ? সেটা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন কুণাল।

বরং তিনি প্রশ্ন তোলেন, যোগী রাজ্যে কী করে তিনবার ‘বন্দে ভারত’ আক্রান্ত হয় ? গুজরাটে বিজেপি সরকার। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে কয়েক লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেল। তখন বিজেপি নীরব। একটা ইটের ঘটনা নিয়ে বিজেপি পুরোদস্তুর রাজনীতি করতে, কুৎসা করতে নেমে পড়ল।আর এখন রেল সূত্রে বলা হচ্ছে যে ইটটা মারা হয়েছিল বিহার থেকে, বাংলায় নয়। এখন জানা যাচ্ছে ইট ছোড়ার ঘটনাটা ঘটেছে বিহারের কিষাণগঞ্জে মাগুরজান এলাকায়, যে এলাকাটি বিহারের মধ্যে পড়ে।

দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী থেকে বিজেপির অন্যান্য নেতারা যেভাবে মিথ্যাচার করলেন, বাংলাকে কলুষিত করলেন, এখন তাদের উচিত ক্ষমা চাওয়া। দিলীপ- শুভেন্দু-সুকান্ত যারা বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন তাদের উচিত আগে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া। যারা কোনও খবর না নিয়ে শুধুমাত্র বাংলার প্রতি বিদ্বেষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন, কুৎসা করার জন্য টুইট করেছেন, তারা অন্যায় করেছেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে এর আগে আমরা দেখেছি অন্য জায়গার ভিডিও দেখিয়ে বিজেপি গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। পরে দেখা গিয়েছে সেই ভিডিওগুলো এখানকার নয়। ফের শুভেন্দু প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কুণাল বলেন, আপনাদের জন্য আসানসোলে যে তিনজনের মৃত্যু হল 6 জন আহত হলেন সেই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সময় এখনও আপনার হলো না। অথচ বিবৃতির পর বিবৃতি, কুৎসা করে যাচ্ছেন।

তৃণমূল মুখপাত্রকে একটি আইনি চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুণালের নানান মন্তব্যের জন্য ‘৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে উল্লেখ করেছেন । এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আমার মন্তব্যগুলো শুভেন্দু অধিকারী মানতে পারেননি। যথা সময়ে আমার আইনজীবী মারফত আমি আমার বক্তব্য জানিয়ে দেব।শুভেন্দু এত বিবৃতি, চিঠি দিতে পারেন, অথচ আসানসোলে মৃত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সময় নেই।
