Thursday, August 28, 2025

চার প্রজন্মের শৈল্পিক দলিল ‘সন্দেশ ১১০-ক্যালেন্ডার’ নিয়ে নস্টালজিক সবাই

Date:

Share post:

এবছর সন্দেশ পত্রিকার ১১০ বছর পূর্তি।উপেন্দ্রকিশোর থেকে সন্দীপ রায় , পরিবারের চার প্রজন্মের কাজ সন্দেশ ১১০-ক্যালেন্ডারের প্রচ্ছদ প্রকাশিত হলো। এই উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সন্দেশ পত্রিকার বিবর্তন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখলেন পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক সন্দীপ রায়,প্রকাশক অমিতানন্দ দাশ, বিশিষ্ট আর্কাইভিস্ট দেবজিৎ বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সত্যজিৎ গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়,জিনিয়াস কিডস এর বিকাশ কুমার সিং,দ্যা ড্রিমার্স এর সুদীপ্ত চন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য , ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর হাত ধরে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছিল। ইউ. রায় এন্ড সন্স ছিল এর প্রকাশক। এর সাথে যুক্ত ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর ও তাঁর দুই পুত্র সুকুমার এবং সুবিনয়। দুবার এই পত্রিকা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । প্রথমবার ১৯২৯, পরে ১৯৩৪।
সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে পত্রিকার নতুন রূপে পথ চলা শুরু ১৯৬১ তে। সাথে সহ সম্পাদক ছিলেন বিশিষ্ট কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের ছোটো গল্পের হাত ধরে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু এর মতো চরিত্রের আত্মপ্রকাশ হয় সন্দেশের পাতায়।” “বঙ্কুবাবুর বন্ধু” এর মতো গল্পও প্রকাশ পায় সন্দেশে।নব্বই এর দশকে পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সন্দীপ রায়, সাথে অমিতানন্দ দাশ। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং সন্দীপ রায় এই স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের শিল্প সৃষ্টি এই ক্যালেন্ডারে তুলে ধরা হয়েছে ।ছপাতার এই দেওয়াল ক্যালেন্ডার নিয়ে সন্দীপ রায় বলেন , খুবই ভালো উদ্যোগ সন্দেশের ১১০ বছরকে স্মরণ করা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। ছোটোদের পত্রিকা বলতে সন্দেশের কথা অনস্বীকার্য।দিকপাল সব লেখকদের সৃষ্টির মাধ্যমে বছরের পর বছর সমৃদ্ধ হয়েছে এই পত্রিকা। একশো বছর পেরিয়েও এখনো তার প্রকাশিত হচ্ছে। এই ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু প্রচ্ছদ ব্যবহার করা হয়েছে যা এই পত্রিকার গৌরবের দিনগুলোকে স্মরণ করায়। এটি শুধুমাত্র ক্যালেন্ডার নয়, সন্দেশ পত্রিকার অন্যতম দলিল।

 

 

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...