ভারত জোড়ো যাত্রায় জম্মু কাশ্মীরের(Jammu Kashmir) মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক(Surgical Strike) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং(Digvijay singh)। একের পর এক প্রশ্নে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন তিনি। সেনাবাহিনীর(Army) সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলা দিগ্বিজয়ের বিপরিত মেরুতে অবস্থান করল দল। কংগ্রেসের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় দিগ্বিজয়ের এহেন মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করে না কংগ্রেস(Congress)। দিগ্বিজয়ের মন্তব্য যে ‘সেমসাইড গোল’ বুঝতে পেরে ময়দানে নামতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে(Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল জানালেন, আমাদের সেনাবাহিনী যা কিছু করবে তার জন্য প্রমাণ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। দিগ্বিজয় যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত।

উল্লেখ্য, সোমবার ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়ে জম্মুতে দিগ্বিজয় সিং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়ে কথা বলে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দাবি করে আমরা এত জঙ্গি খতম করেছি। কিন্তু কোনও প্রমাণ নেই। স্রেফ মিথ্যার আশ্রয়ে বিজেপি রাজত্ব করছে। আপনাদের বলতে চাই যে এই দেশ সকলের। পুলওয়ামায় হামলা চলল। আমাদের ৪১ জন জওয়ান শহিদ হলেন। কেন তাঁদের শহিদ হতে হল? সিআরপিএফের অধিকর্তা সতর্ক করেছিলেন যে পুলওয়ামা সংবেদনশীল অঞ্চল। তাই বিমানে করে শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে জওয়ানদের পাঠানো হোক। কিন্তু মোদিজি তা শোনেননি। কেন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন?” দিগ্বিজয়ের এহেন মন্তব্যের পর বিতর্ক চরম আকার ধারন করে। কংগ্রেসকে পাকিস্তানের দল হিসেবে আক্রমণ শানায় বিজেপি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিগ্বিজয় যে বড় ‘ফাউল’ করে ফেলেছেন তা বুঝতে পেরে ময়দানে নামে কংগ্রেস।

এবিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, “দিগ্বিজয় সিং যে মন্তব্য করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে কংগ্রেস একেবারে সহমত নয়। দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। যদি সেনাবাহিনী কিছু করে তবে তার জন্য প্রমাণ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।” পাশাপাশি বিজেপি ও আরএসএসকে তোপ দেগে জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাহুল আরও বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেসের লক্ষ্য বিজেপি এবং আরএসএস দ্বারা তৈরি ঘৃণার পরিবেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের দাবি রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়া উচিত। এই পদযাত্রায় আমরা রাজ্যবাসীর দুঃখ-কষ্ট বোঝার সুযোগ পাচ্ছি।” সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন এবং বলেন, “গতকাল আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনারা আমাদের জানিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংসদে তাদের বিষয়টি তুলে ধরার আবেদন জানানো হয় আমাকে। আমি ওনাদের আশ্বস্ত করেছি, অবশ্যই তাঁদের সাধ্যমত সাহায্য করব।”
