Thursday, November 6, 2025

বাংলার বিজেপি ফুটো কলসী, ত্রিপুরা ঘুরে উপলব্ধি অগ্নিমিত্রার

Date:

Share post:

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরার ভোট প্রচারে বাংলা থেকে ৩০ বিধায়কের তালিকা তৈরি করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেই তালিকা ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অগ্নিমিত্রা পালেরা ত্রিপুরা গিয়েছেন ভোটের বাজারে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে। অগ্নিমিত্রা পাল মূলত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কেন্দ্র বড়দোয়ালিতে প্রচার করার পাশাপাশি একমঞ্চে সভাও করেছেন।

ত্রিপুরার ভোট প্রচার করতে গিয়ে বাংলায় তাঁদের দল ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা এতদিন পর উপলব্ধি হল আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রার।প্রতিবেশী ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় বিজেপি পাঁচবছর আগে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল। এবার ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের লড়াই কঠিন ঠিকই, কিন্তু মাত্র ৫ বছরের রাজ্যের কোনায় কোনায় দলের সংগঠনের ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়েছে গেরুয়া শিবির। যা দেখে অগ্নিমিত্রা-সহ বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব লজ্জায় পড়ে গিয়েছে। কারণ, বাংলায় তাঁদের সংগঠনের বেহাল দশা। অথচ, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। আর একুশের বিধানসভা ভোটের পর বাংলার প্রধান বিরোধী দল তারা।

সম্প্রতি, প্রথম দফার প্রচার সেরে রাজ্যে ফিরেছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ত্রিপুরা কেমন দেখলেন এই প্রশ্নের জবাবে অগ্নিমিত্রা বলেন, ”কোনও লজ্জা নেই বলতে, ত্রিপুরা গিয়ে দেখে এলাম সংগঠন কাকে বলে!” ত্রিপুরা নির্বাচনে প্রচার করতে গিয়ে বাংলার নেতা-নেত্রীদের নজরে সবচেয়ে বেশি পড়েছে ত্রিপুরায় দলের সংগঠন। অগ্নিমিত্রার কথায়, ”আমাদের তুলনায় ত্রিপুরাতো কিছুই না। মাত্র ৬০ টা আসনের বিধানসভা। কিন্তু, রাজ্যের কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে দলের সংগঠন। প্রচারে বেরিয়ে দেখলাম, প্রতিটি এলাকায় তৈরি দলের নির্বাচনী অফিস। টিনের চালে কমলা রঙের পোঁচ। ছোট্ট অফিসের চারপাশে দলীয় পতকায় সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন দলের কর্মীরা। আমাদের এখানে একটা মণ্ডল কমিটির বৈঠকে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। আর, ওদের ওখানে দেখে এলাম বুথ কমিটির বৈঠকে ঘর ভর্তি কর্মী। সংগঠন কাকে বলে, ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে এলাম।”

ত্রিপুরা ঘুরে আসার পর অগ্নিমিত্রার এমন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই জোরচর্চা। তাহলে এটা কি নিছকই আত্মসমালোচনা? নাকি এই সুযোগে রাজ্য নেতৃত্বকেও নিশানা করলেন এবং বাংলায় সংগঠনের বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা।

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...