Friday, November 7, 2025

জলপাইগুড়িতে প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে রাজ্যপাল! ৪৬ বছর পর ভাসলেন আবেগে

Date:

Share post:

পূর্বনির্ধারিত কোনও সূচি ছাড়াই পুরোনো বন্ধু তথা সহকর্মীর বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। বড় রাস্তায় গাড়ি রেখে, সরু গলি দিয়ে পায়ে হেঁটে বন্ধুর বাড়িতে ঢুকলেন। আর ঢুকেই উঠোনে দাঁড়ানো বন্ধুকে দেখে জড়িয়েও ধরলেন। একতা যাত্রার মাঝে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকা জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে হাজির হলেন রাজ্যপাল। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা অশোককুমার রায়চৌধুরী (Ashok Kumar Roychoudhury)। আর তাঁর বাড়িতেই আচমকা হাজির রাজ্যপাল।

অশোককুমার রায়চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্যপালের বন্ধুত্ব হয় ১৯৭৭ সালে। তখন তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি শাখায় শিক্ষনাবিশ আধিকারিক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। অশোক ছিলেন করণিক। তবে পুরনো সম্পর্ক তিনি ভুলে যাননি। এরপর রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় আসার পর সি ভি আনন্দ বোস অশোকের নম্বর খুঁজে যোগাযোগ করেছিলেন। এদিন অশোক বলেন, তাই বলে আমার সঙ্গে দেখা করতে একেবারে বাড়িতে চলে আসবেন, ভাবতেই পারিনি। কত জনের সঙ্গে কত সম্পর্ক ছিল, তাঁদের অনেকেই মনে রাখেননি। কিন্তু রাজ্যপালের পদে আসীন হয়েও, তিনি আমার বাড়িতে এসেছেন, এ অনুভূতি প্রকাশের কোনও উপায় নেই!

 

তবে প্রাক্তন সহকর্মীকে সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি এদিন অশোকবাবুর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান আনন্দ বোস। কর্মজীবনের সেই সময়ের স্মৃতিচারণায় মেতে ওঠেন দু’জন। উল্লেখ্য, আত্মজীবনী লিখেছেন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। তাতে জলপাইগুড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই কথা তৎকালীন সহকর্মী অশোককুমার রায়চৌধুরীকে জানান তিনি। এদিন নিজের লেখা বই-সহ নানা উপহার অশোককে দিয়েছেন রাজ্যপাল। অশোকও রাজ্যপালকে শাল উপহার দিয়েছেন। এদিন রাজ্যপাল অশোকের কাছে জলপাইগুড়ি নামের উৎস জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি জঙ্গলের কথা শুনতে চেয়েছেন, জেলায় কী ধরনের চাল হয় তা বুঝতে কৌটো থেকে চাল হাতে নিয়েও দেখেছেন।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, রায়চৌধুরী খুব ভাল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর কাছেই আমি ব্যাংকিং শিখেছি। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ি ছিল আমার কর্মক্ষেত্র। সেই সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও মনে রয়েছে। অশোককুমার রায়চৌধুরী বলেন, সেই সময় করণিক হিসেবে ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম আমি। খুবই মেধাবী একজন কর্মী ছিলেন আজকের রাজ্যপাল। খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারতেন। খুব ভাল লাগছে এতো বড় একজন মানুষ হয়েও সেদিনের কথা ভোলেননি।

 

 

spot_img

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...