তৃণমূল আসলে বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হবে: অভিষেক

ত্রিপুরার কমলপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সকলকে জোড়াফুল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।পাশাপাশি, বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার তুলনাও টানেন অভিষেক

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় প্রচারে গিয়ে ডাবল ইঞ্জিন বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস অশুভ আঁতাতকে কটাক্ষ, অন্যদিকে বাংলার উন্নয়নের মডেলকে তুলে ধরে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরলেন ত্রিপুরাবাসীর সামনে। তৃণমূল ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এলে বাংলার মতো আমূল পরিবর্তন হবে বলেও দাবি করলেন অভিষেক।

এদিন ত্রিপুরার কমলপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সকলকে জোড়াফুল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।পাশাপাশি, বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার তুলনাও টানেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, ভাষা দুই রাজ্যের মিল তুলে ধরে অভিষেক বলেন, “বাংলা এখন কত এগিয়ে গিয়েছে, আর বিজেপি শাসনে পিছিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা।” তৃণমূল ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের মতোই এই রাজ্যেও লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে “নতুন ভোর” আসছে বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। তাই বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কোনও জমি ছাড়বে তৃণমূল, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করতে হবে বলেও জানান তিনি।

আজ, শুক্রবার দুটি জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাংলার ভোটে হারের কারণেই ত্রিপুরায় পেট্রল, ডিজেলের দাম কমিয়েছে বিজেপি। তাঁর কথায়, “বিজেপি হারলেই মূল্যবৃদ্ধি কমবে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হারার পরেই পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকার। তখন দেখবেন পেট্রল ১০০ থেকে ৫০ হবে, সরষের তেল ২০০ থেকে ১০০ টাকা হবে।” বিজেপিকে একহাত নিয়ে অভিষেকের আরও সংযোজন, “বিজেপি দাবি করছে, আগরতলার বুকে বিমানবন্দর তৈরি করেছি। সাধারণ মানুষের জন্য করেনি, নিজেদের দলের নেতাদের ওঠা নামার জন্য বিমানবন্দর করেছে বিজেপি। ২০২২ সালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পাল্টেছে, ২০২৩ সালে সরকার বদলাবে। বাংলা-ত্রিপুরা ভাইবোন, একই পরিবারের। বাংলা পারলে ত্রিপুরাও পারবে।”

ত্রিপুরায় সিপিএম, কংগ্রেস, তিপ্রা মথার মতো বিরোধী দল থাকলেও, বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই চালিয়েছে একমাত্র তৃণমূল। গেরুয়া সন্ত্রাসের সামনে তখন বাকি দলগুলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র তৃণমূলের চাপের সামনে নত হয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। অভিষেকের দাবি, তৃণমূলের লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিধানসভা ভোটের মাত্র ৬ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরাতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- রাত পোহালেই কোচবিহারে অভিষেক, মাথাভাঙায় লক্ষাধিক জমায়েতের লক্ষ্যে তৃণমূল