মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বদল! নতুন রাজ্যপাল হলেন রমেশ বইস

‘অব্যাহতি’ দেওয়া হল মহারাষ্ট্রের বিদায়ী রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে।রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হলেন রমেশ বইস। এত দিন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন রমেশ। ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। গত কয়েকদিন ধরেই পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বিদায়ী রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি । আজ, রবিবার তাঁর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

আরও পড়ুন:অনাদায়ী করের বেশিটাই কর্পোরেটদের, শীর্ষে গুজরাত, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র

গত ২৩ জানুয়ারি কোশিয়ারি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মুম্বই সফরে আমি তাঁর কাছে সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। জানিয়েছি, বাকি জীবনটা আমি পড়া, লেখা এবং অন্য কাজে ব্যয় করতে চাই।” তার কিছু দিন আগেই ছত্রপতি শিবাজিকে নিয়ে অসংবেদনশীল এবং অবমাননামূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কোশিয়ারির বিরুদ্ধে। তারপরই জল্পনা শুরু হয়, শিবাজি-বিতর্কে বিজেপির সহযোগী শিন্ডেসেনা এবং বিরোধীদের চাপে কোশিয়ারিকে ইস্তফা দিতে বলবে কেন্দ্র।

গত নভেম্বরে অওরঙ্গাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কোশিয়ারি মন্তব্য করেন ‘‘মহারাষ্ট্রে বৈগ্রহিক চরিত্রের অভাব নেই। প্রাচীন যুগে ছিলেন ছত্রপতি শিবাজি। পরবর্তী সময়ে ভীমরাও অম্বেডকর। বর্তমান সময়ে নিতিন গডকরী।’’ ওই মন্তব্যের পরেই বিরোধী শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির)-র তরফে মরাঠা ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য রাজ্যপালের ইস্তফা দাবি করা হয়। একই দাবি তোলে বিজেপির সহযোগী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীও। বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়াড় বলেন, ‘‘অম্বেডকর এবং নিতিনের সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে শিবাজি মহারাজের অবমাননা করছেন রাজ্যপাল।’’
এমনকি গত অগাস্ট মাসে একটি কর্মসূচিতে রাজ্যপাল কোশিয়ারি বলেছিলেন, ‘‘গুজরাতি এবং রাজস্থানিরা চলে গেলে মুম্বই আর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী থাকবে না।’’এই মন্তব্যের জেরে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি ক্ষমাও চাইতে হয় রাজ্যপালকে।