শনি সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলে ভরপুর নাটক। জঙ্গি মুসার তাড়া খেয়ে পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। থুতনিতে চোট। জেলবন্দিদের মধ্যে নানা জিজ্ঞাসা। সাংবাদিক মহলে নানা প্রশ্ন। এরই মাঝে বুধবার পার্থকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
কী হয়েছিল শনিবার সন্ধ্যায়? প্রেসেডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ সেলের ২নম্বরে থাকেন পার্থ। আর মুসা থাকে ৭ নম্বরে। শনিবার তখন বিকেলে ৫.৩০। লক আপ করা হচ্ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ গাম্ভীর্য দেখিয়ে বলেন, তিনি আর একটু উঠোনে হাঁটবেন। এতেই ক্ষেপে ওঠে মুসা। শুরু করে গালাগালি। দুই বন্দির ক্ষেত্রে কেন দুই নিয়ম হবে, এই অভিযোগে শুরু চোখা চোখা বাক্যবাণ, যার বঙ্গানুবাদ করলে গালাগালিই বলতে হয়। লক্ষ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই সেই ঘটনা। ক্ষুব্ধ মুসা হঠাৎ একটি মল ভর্তি মগ তুলে নেয়। সকলকে অবাক করে ছুঁড়ে দেয় পার্থর দিকে। আইএসআই জঙ্গি মুসার এই এক বদভ্যাস। মলত্যাগ করে সে মগে। আর জমিয়ে রাখে তার টার্গেটের জন্য। অপ্রস্তুত পার্থ মল-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারি শরীর এই অতর্কিত স্থান পরিবর্তনের ভার নিতে পারেনি। পড়ে যান পার্থ। চোট লাগে থুতনিতে। ছুটে আসেন কারারক্ষীরা। নিয়ে যাওয়া হয় জেল হাসপাতালে। এবং শেষে বুধবার পিজিতে।
মল আক্রণের মুখে পড়ে পার্থ আরও গম্ভীর। কথা বলছেন কম। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আচরণে। মুসার গালাগাল হজম করলেও মলাক্রমণ তিনি নিতে পারছেন না। পার্থকে আক্রমণ আর মুসার শাস্তি হবে না, তা হয় না! তার স্থান এখন আইসোলেশন ওয়ার্ড -একের দশ।