“জমির বদলে চাকরি” মামলায় গত সোম ও মঙ্গলবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর স্ত্রী তথা আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তল্লাশিও চলে আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায়। বাবা-মা’র জেরায় নিস্তার নেই, লালু-পুত্র তথা বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাসভবনে হানা দিয়েছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। রেহাই পাননি লালু-কন্যা রাগিনী, চন্দা, হেমা যাদবও। প্রায় ১১ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো পর মধ্যরাতে তেজস্বীর দিল্লির বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন তেজস্বী সহ ৯ জন বিরোধী দলের নেতানেত্রী। ঠিক তারপর দিন থেকে লাগাতার কেন্দ্রীয় এজেন্সির টার্গেটে আরজেডি সুপ্রিমোর পরিবার।

স্বাভাবিকভাবে আরজেডির তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এই পদক্ষেপকে “অতি সক্রিয়তা” আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই তল্লাশি অভিযান চালানোর “টাইম” নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের বক্তব্য, তেজস্বীর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির এহেন প্রতিহিংসার রাজনীতি একেবারেই অনভিপ্রেত। ভাই তেজস্বীর পাশে দাঁড়িয়ে টুইটারে সরব হয়েছেন লালুর দ্বিতীয় কন্যা রোহিণী আচার্যও। তিনি লেখেন, “আমরা এই অবিচার মনে রাখব। আমার বোনের ছোট ছোট সন্তানরা কী দোষ করেছে? সন্তানসম্ভবা ভ্রাতৃবধূরই বা কী অপরাধ? কেন আজ সকাল থেকে ওদের নির্যাতন করা হচ্ছে? লালু-রাবড়ি পরিবার কখনও স্বৈরাচারী ও দাঙ্গাবাজদের সামনে মাথা নত করেনি। সেটারই খেসারত দিতে হচ্ছে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সময়মতো এর জবাব দেওয়া হবে।”

জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের প্রেক্ষিতেই “জমির বদলে চাকরি” মামলায় এদিন অভিযান চালিয়েছে ইডি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০০৪-’০৯ পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলে চাকরির বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে জমি নিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর পরিজনরা। অন্তত ১২ জন “অযোগ্য” প্রার্থী এভাবে জমির বদলে চাকরি পেয়েছেন।