Thursday, November 13, 2025

মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার ডাক: কোচবিহারে এক তিরে BSF-নিশীথকে বিঁধলেন অভিষেক

Date:

Share post:

বাংলার সীমান্ত থেকে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেখানে প্রথমদিনের জনসভা থেকেই BSF-র বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ শাণালেন অভিষেক। একই সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিশানায় BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। এবার পঞ্চায়েতে নিজের প্রার্থী নিজেরাই বছবেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ২ মাস ধরে জনসংযোগ যাত্রা করছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “যে জেদ নিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের পঞ্চায়েত উপহার দেব, সেটা পূরণ করবই“।

সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে বিএসএফের গুলি চালানোর কথা মনে করে তিনি বলেন, “২০২১ সালে ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে ভোট চলার সময় কী হয়েছে দেখেছেন। নিরীহ মানুষকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। একটা লাঠি কারও হাতে ছিল না। এদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। প্রেমকুমারকে গুলি করে মেরেছে। মোজাফ্ফর মাছ ধরতে যান। ওইদিন এলেন না। পরদিন পুকুরে দেহ পাওয়া গেল। মাথায় গুলি। ওর হাতে বোম-বন্দুক ছিল না।”

এরপরেই এই ঘটনার রেশ টেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ নিশীথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, “কোচবিহারের মানুষ এই বিএসএফের মন্ত্রীকে নির্বাচিত করেছিলেন। এটা লজ্জার। এই লজ্জার প্রতিবাদ করতে হবে। তৃণমূলের হাত শক্ত করতে হবে।“ পঞ্চায়েতে বিজেপিকে শূন্য করে দেওয়ার ডাক দেন অভিষেক। এর আগে তৃণমূলের থেকে এই অঞ্চলে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যাঁরা দীর্ঘদিন কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়িতে ভোট নিয়ে কেটে পড়েছে তাদের চিনে রাখুন। এবার আর ধর্মের ভিত্তিতে ভোট নয়।“ অভিষেকের কথায়, রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে একাংশ ভোট দিয়েছিল। রাম মন্দির হচ্ছে। আর কিছু না। এটাই বাস্তব।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ, “রাজ্যে ভোটে হারার পরে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলা দিল্লির কাছে মাথানত করবে না।“

অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, “কলকাতা থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছি, শান্তিপূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত অবাধ ভোট হবে। তার প্রথম ধাপ সঠিক প্রার্থী বাছাই করা। যে সিপিএম বিজেপি করবে না। কোনও ধর্ম থাকবে না। ধর্ম হবে মানুষের কাজ করা। মানুষের ধর্ম মানুষকে ফিরিয়ে দিতে এসেছি।“

 

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...