ফের দুর্ঘটনা, জাজপুরে চার ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

গোপাল দেবনাথ (বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রী)

যাত্রা শুরু হতে না হতেই বিপত্তির মুখে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস । জানা গিয়েছে, পুরী থেকে রওনা হয়ে হাওড়া আসার পথে বিকট আওয়াজ করে থমকে গেল ট্রেনটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওভারহেড তারে গাছ পড়ায়  বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চার ঘণ্টা হতে চলল,এখনও দাঁড়িয়ে আছে  হাওড়া মুখী বন্দে ভারত। সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় ট্রেন জুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলের চার্জও প্রায় শেষ হতে বসেছে অধিকাংশ যাত্রীর।

ওই ট্রেনেরই যাত্রী বেলেঘাটার গোপাল দেবনাথ বলেন, এখন পুরো অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। ওড়িশার জাজপুরের কাছে একটি ব্রিজের উপর থেমে যায় ট্রেনটি।গোপালবাবু জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এখনও ঝড় বৃষ্টি চলছে। আচমকা বিকট শব্দ হয়। তারপরই থেমে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পাইলট কেবিনের ‘উইন্ডশিল্ড’-এ ফাটল ধরেছে। আরও দুটি কামরার কাঁচেও ফাটল ধরে গিয়েছে। ট্রেনের ভিতরের মূল আলো চলে গিয়েছে। ফলে অন্ধকারে  শিশুরা রীতিমতো আতঙ্কে কান্না জুড়ে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০ মে  শনিবার থেকেই হাওড়া পুরী রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।শনিবার কাপলিং খুলে বিপত্তি ঘটেছিল। রবিবার বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিট জাজপুর কেওনঝড় রোড ছাড়ার পরই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস একটা বিকট শব্দ হয়। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়ে ভারতের প্রথম সেমি-হাইস্পিড ট্রেন।গোপালবাবু জানান, সি৩ (চেয়ার কার) এবং সি১২ (চেয়ার কার) কোচের বাঁ-দিকের একটি করে জানালাতেও চিড় ধরেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ, যে তৎপরতার সঙ্গে যাত্রীদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল রেলের তার বিন্দুমাত্র দেখা যায়নি।প্যান্টো গ্রাফ সারানো হচ্ছে বলে দায় সেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ।তিনি জানিয়েছেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থমকে গেলেও কোনও যাত্রীর চোট-আঘাত লাগেনি। প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। তবে আচমকা ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কীভাবে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন, সেটাই কুলকিনারা করতে পারছেন না।বন্দে ভারতের বিভিন্ন পরিষেবা যেহেতু ‘অটোমেটিক’, তাই ট্রেনের দরজা খুলছে না। শৌচাগারেও সমস্যা হচ্ছে।সব মিলিয়ে রেলের দিকে তাকিয়ে আছেন যাত্রীরা।

Previous articleদশগুণ বেশি সমর্থন নিয়ে সোম থেকে ফের শুরু অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা
Next articleবিশ্বজয়ের ২৯ বছর পার, থ্রোব্যাক ক্যাপশনে নস্টালজিক সুস্মিতা