চিরাচরিত পথে নয়, বৈচিত্র্যময় স্বপ্ন সত্যি করাই লক্ষ্য উচ্চমাধ্যমিকের কৃতিদের!

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের (Narendrapur Ramakrishna Mission) এই ছাত্রের সাবজেক্ট কম্বিনেশন দেখে রীতিমতো অভিভূত খোদ সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও।

জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল (Higher Secondary Examination Result) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন লাইম লাইটে উঠে এসেছে। তবে এই বছর এক অদ্ভুত ঘটনা দেখা গেল। চিরাচরিতভাবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন না দেখে মেধাবী পড়ুয়ারা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পেশাকে (New Dream for Future)ভবিষ্যৎ জীবনের অঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কেউ বলছেন সাহিত্য জগতের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে আর্টস নিয়েই অধ্যাপনা করবেন। কারোর পছন্দ আবার অর্থনীতি (Economy)। কেউ বলছেন পুলিশে (Police) চাকরি করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন। কেউ চাইছেন সত্যিকারের মানুষ হতে। নিঃসন্দেহে বলা যায় এবছরের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা আগামীতে তাঁদের বৈচিত্র্যময় স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চান।

অতিমারিকালে হয়নি মাধ্যমিক, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার সাফল্যে আপ্লুত কৃতীরা

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার (Shubhrangshu Sardar)।কৃতী মানেই সারাদিন মুখ গুঁজে পড়া, এই প্রচলিত ধ্যান ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে এই পড়ুয়া। স্কুলের গানের ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার এই ছাত্র দিনে চার সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করেননি। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের (Narendrapur Ramakrishna Mission) এই ছাত্রের সাবজেক্ট কম্বিনেশন দেখে রীতিমতো অভিভূত খোদ সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও। আগামীতে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইছেন শুভ্রাংশু। দ্বিতীয় স্থানে যুগ্ম ভাবে রয়েছেন বাঁকুড়ার সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোট তিন জন।

এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোবরডাঙ্গা ইছাপুর হাইস্কুলের ছাত্রী প্রেরণা পাল উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন।মেয়ের এই সাফল্যে খুশি গোটা পাল পরিবার। আগামীতে কোনদিকে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে প্রেরণা অবাক করলেন সবাইকে। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে গোবরডাঙ্গার এই কৃতি ছাত্রীর। বাবা পেশায় শিক্ষক হলেও কিন্তু তিনি বলছেন“আগে মানুষ হয়ে নিই, তারপর মানুষ গড়ার কারিগর হওয়ার কথা ভাবব”। এই বছর পরীক্ষায় হুগলির জয়জয়কার , অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন অদ্বিতীয়া। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার নয় তিনি চান অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে। পছন্দের বিষয় যেহেতু ইতিহাস তাই নিয়েই আগামী গড়তে চান তিনি।

উচ্চমাধ্যমিকে (West Bengal HS Result 2023) অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যের মধ্যে যুগ্ম প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দিল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির একলব্য মডেল স্কুলের দুই ছাত্রী। সরস্বতী বাস্কে ও মৌসুমী টুডুর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭২। পুলিশ হতে চান মৌসুমী, শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সরস্বতী।

 

এভাবেই ব্যতিক্রমী স্বপ্নের রঙে রঙিন হোক সব মেধাবীদের আগামী। শুভেচ্ছা জানালাম আমরাও।