Friday, December 12, 2025

নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথায় বিনিয়োগ জানতে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

Date:

Share post:

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে পৌঁছন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন সুজয়। এই প্রথম বার ইডি দফতরে গেলেন সুজয়।

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তাঁর মুখেই প্রথম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম এসেছে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও সুজয়ের নাম শোনা গিয়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়।

সিবিআই সুজয়কে দু’বার তলব করে। প্রথম বার সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরের বার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় সুজয় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি তিনি আইনজীবী মারফত পাঠিয়েও দিয়েছেন সিবিআই দফতরে। একই সঙ্গে সুজয় দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী-কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও তিনি পাঠিয়েছেন আইনজীবীর মাধ্যমে।

গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।তার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থা বিশেষ করে নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। সেই সংস্থা সুজয় নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা। ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টট্যান্টদের তলব করা হয় আগেই। এর পরেই মঙ্গলবার তলব করা হয় সুজয়কে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থার কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিতে বিনিয়োগ করেছিলেন সুজয়, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্য নিয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।

গত ৪ মে সুজয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তল্লাশি অভিযানে সুজয়ের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেছিলেন, তাঁর বোন হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া গিয়েছিল একটি অ্যাডমিট কার্ডও। সুজয় দাবি করেছিলেন, সেটা পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁর শ্যালিকার পুত্রের অ্যাডমিট কার্ড। সুজয়ের একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এর আগে সিবিআই দফতরে গেলেও এই প্রথম তিনি গেলেন ইডি দফতরে। তাঁর কি ভয় লাগছে? তিনি কি আত্মবিশ্বাসী? সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুজয় জানান, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী কিনা বেরনোর সময় দেখবেন।’

spot_img

Related articles

হতশ্রী বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যর্থতা জারি টপ অর্ডারের, দ্বিতীয় ম্যাচে হারের সঙ্গী উদ্বেগও

subh পাটা উইকেটে শিশিরের কথা ভেবে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার। কিন্তু লাভের লাভ কিছু...

যাবতীয় বিতর্কর অবসান! শুরু হতে চলছে পৌষ মেলা

যাবতীয় বিতর্কর অবসান ঘটিয়ে এবার সুষ্ঠুভাবে পৌষ মেলা শুরু হতে চলেছে এমনটাই দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অতীতের উপাচার্যের করে...

ফলতায় এসআইআর পর্যালোচনায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদল

এসআইআর সংক্রান্ত কাজ পর্যালোচনা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সদস্য সি মুরুগান। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা...

পরিস্থিতির দোহাই: তাজপুর বন্দর থেকে সরে যাওয়া নিয়ে সৌগতকে বার্তা আদানির

শর্ত পূরণ না করায় রাজ্য সরকার তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির প্রকল্প থেকে বাদ দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠীকে। কিন্তু...