আসন্ন মরশুমের জন্য দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। দলবদলে চমক আনছে লাল-হলুদ ক্লাব। একের পর এক ব্যর্থতা। তবে এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। ইমামি কর্তারা বারেবারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভালো দল গড়ার। দলবদলের শুরুর দিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে ইমামি কর্তাদের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তবে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা এখন কিছুটা কেটে গিয়েছে। বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিছুদিন আগেই গত বছরে খেলা ১১ জন ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। তবে নতুন মরশুমের জন্য ইতিনধ্যেই বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারকে সই করিয়ে ফেলেছে লাল-হলুদ। তবে এখনও বেশকিছু জায়গায় কিছু তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তাঁরা। আর এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, গোলরক্ষক প্রভসুকান সিং গিলকে সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ ক্লাব। যদিও কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়। সরকারি ভাবে কোনও ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

গত মরশুমে কমলজিত সিং দারুণ খেললেও, আরও ভালো গোলরক্ষককে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। সেই জন্যই কেরালা ব্লাস্টার্সের এই গোলরক্ষককে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্ডার মন্দার রাও দেশাইকেও সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ ক্লাব। এফসি গোয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসতে পারেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে লড়াইয়ে রয়েছে ওড়িশা এফসি-ও। নতুন নিযুক্ত কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মেনেই দল গঠনের কাজে হাত লাগিয়েছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।

এদিকে জানা যাচ্ছে, রহিম আলিকে লাল-হলুদ ক্লাব নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখালেও,আপাতত কিছুটা স্থিমিত ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। সুত্রের খবর, এর কারণ রহিমের ট্রান্সফার ফি। ২০২৪ পর্যন্ত চেন্নাইয়ান এফসির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে রহিমের। এবং তাকে দলে নিতে গেলে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে প্রায় ১ কোটি টাকা। আর জানা যাচ্ছে, এই বিশাল পরিমাণ ট্রান্সফার ফি-র কারনেই নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:ভারতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে আইসিসিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল পিসিবি
