ব্ল্যা.ক ফ্রাইডে-র আত.ঙ্কে ঘুম নেই চোখে, হাসি-কান্নায় নেই নিয়ন্ত্রণ!

হাসপাতালে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে এক জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মনস্তত্ত্ববিদ, এক জন সমাজকর্মী রয়েছেন। রয়েছেন রোগীর পরিবারের এক বা দুই সদস্যকে রাখা হয়েছে।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে (Black Friday)-তে ভয়াবহ ট্রেন (Train) দুর্ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে দেখেই পাঠক-দর্শকদের আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছিল। আর যাঁরা ওই ট্রেনে দুটিতে ছিলেন, দুর্ঘটনার আঘাতে যাঁরা বিপযস্ত তাঁদের কী মানসিক অবস্থা! কারও চোখে ঘুম নেই। কেউ ঘুমের মধ্যে চমকে উঠছেন। কারও নিয়ন্ত্রণ নেই হাসি-কান্নায়। কেউ জোরে জোরে হাসছেন, ঘুমের মধ্যেই কেউ আবার আর্তনাদ করে উঠছেন। করমণ্ডল (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় আহত যাঁরা বালেশ্বরের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি তাঁদের মধ্যেই এই সব উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার আহত ১০৫ জন যাত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার’-এ ভুগছেন ৪০ জন। তাঁদের কাউন্সেলিং-ও শুরু করছে হাসপাতাল। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক যশবন্ত মহাপাত্রের কথায়, দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা যাত্রীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত এবং বেঁচে ফেরা যাত্রীদের মস্তিষ্কে প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। ফলে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের অনেকের মধ্যেই সেই প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। হাসপাতালে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে এক জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মনস্তত্ত্ববিদ, এক জন সমাজকর্মী রয়েছেন। রয়েছেন রোগীর পরিবারের এক বা দুই সদস্যকে রাখা হয়েছে।