এর আগে এক স্টেডিয়ামের নাম নিজের নামে করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার মিউজিয়ামের নাম বদল করে নিজের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির (Nehru Memorial Museum and Library) নাম পরিবর্তনের পর এভাবেই নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Congress Leader Jairam Ramesh)। নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির এক বিশেষ বৈঠকে এই নাম পরিবর্তিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি (Prime Minister and Society)রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing),যিনি আবার সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট । দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক কতটা প্রচারসর্বস্ব রাজনীতি করেন সেটা তাঁর এই সব কর্মকাণ্ডেই স্পষ্ট মনে করছেন বিরোধীরা।

নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (NMML)জ্ঞানচর্চায় গোটা বিশ্বের গন্তব্য । শুধু বই নয় ও পুরনো নথিপত্রের বিপুল ভাণ্ডার এই মিউজিয়াম। আর সেই স্থাপত্যকে নিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা বলছেন ক্ষমতার অপব্যবহারের নমুনা এই সিদ্ধান্ত। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির নতুন নাম হবে প্রাইম মিনিস্টার্স অ্যান্ড সোসাইটি (Prime Minister and Society)। ২০১৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিন মূর্তি কমপ্লেক্সে ভারতের সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের জন্য নিবেদিত একটি জাদুঘর স্থাপনের চিন্তা করা হয় । ২৫ নভেম্বর ২০১৬-এ NMML-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৬২-তম সভায় এটি অনুমোদিত হয়েছিল । এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, ভারত রাষ্ট্রের স্থপতির নাম এবং উত্তরাধিকারকে বিকৃত, অপমানিত এবং ধ্বংস করতে মোদি সব করতে পারেন। এখানেই শেষ নয়, মোদিকে তিনি নিরাপত্তাহীনতার চাপে থাকা একজন ক্ষুদ্র মানুষ যিনি স্বঘোষিত বিশ্বগুরু বলেও কটাক্ষ করেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লাইব্রেরির অধিকর্তা এন রঙ্গরাজন পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার সংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ রাজনাথ সিং-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে মিউজিয়াম থেকে নেহরুর নামটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রমুখকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
