৫০ জনের টিম গঠন করে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েতের প্রচার: বৈঠকে সিদ্ধান্ত তৃণমূলে

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের টেক্কা দিতে বড় পরিসরে প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে তারই রূপরেখা তৈরি করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে শেষ পর্বের প্রচারে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই দলীয় নেতৃত্বের ৫০ জনের একটি টিম গঠন করা হবে। এনারা আগামী ১৫-২০ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে চালাবেন প্রচার।

এদিন দলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, শতাব্দী রায় ও বিরবাহা হাঁসদা। বইথকের শুরুতেই শুরুতেই রাজ্যের সমস্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানো হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত তুলে ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এই নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলের তরফ থেকে ৫০ জনের টিম গঠন করা হবে। সারা বাংলা ব্যাপী ১৫ থেকে ২০ দিন তাঁরা সব জায়গায় মিটিং করবেন, মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন ও রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাবেন।” এর পাশাপাশি দলীয় নির্দেশ না মেনে যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, দলের নির্দেশ না মেনে যারা নির্দলে দাঁড়িয়েছেন দল নেত্রীর অনুরোধ তাঁরা মনোনয়নপত্র তুলে নিন। অন্যথায় ভবিষ্যতে দলে তাঁদের জন্য কোনও জায়গা থাকবে না। এছাড়াও তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাক বা না থাক তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করে।

এর পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, “নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন ১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ে বড় পরিসরে আন্দলনে নামবে তৃণমূল। সেই মতো এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলে নিজেদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত ১০ লক্ষ মানুষকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বড় পরিসরে লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল।” একইসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকির ভাইরাল চ্যাট নিয়েও এদিন সরব হয় দল। তৃণমূলের তরফে সরাসরি অভিযোগ করা হয়, ISF-কে মাধ্যম করে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত বজায় রেখেছে বাম ও কংগ্রেস। নওশাদ সিদ্দিকি কৈলাস বিজয়বর্গী ও নিত্যানন্দ রাইইয়ের পিএকে চিঠি পাঠাচ্ছেন অফিসার বদলের জন্য। এই চ্যাট সত্যি হলে ভোট কাটার নোংরা খেলা খেলছেন নওশাদ। উনি মুখ খুলুন। এই চ্যাট প্রকাশ করেছে কীভাবে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছিল শাসকদলে থাকা বিজেপি। ভোট পর্ব মিটলে এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল।

Previous article৬২৭ বছরের প্রাচীন মাহেশের রথযাত্রা ঘিরে উৎসবের মেজাজ শ্রীরামপুরে
Next articleক্যানিং পরিদর্শন করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল