Saturday, August 23, 2025

রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের বি.রোধিতায় মোমবাতি মিছিল বাংলার ক্রীড়াবিদদের

Date:

Share post:

সিভি আনন্দ বোসের সৌজন্যে এ যেন ফিরে ফিরে আসছে রাজভবনে জগদীপ ধনকড় পর্ব। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বাড়ছে। এবার কারণ রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস বা পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা পালনের সিদ্ধান্ত। সেই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একতরফা ভাবে কেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে তা নিয়ে কোনও আলোচনা করা হল না, প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আজ ২০ জুন, রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন রাজ্যপাল। এই উদ্যোগ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টিকে সংবিধান সম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ফোনে কথা বলার সেই নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয়, এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলেই। কারণ ২০ জুন দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গভঙ্গের যন্ত্রণাময় ইতিহাস। তাই সেই দিনে আনন্দ-আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে, রাজ্যপালের পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের প্রতিবাদে ধিক্কার জানিয়ে আজ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বাংলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে মোমবাতি মিছিলে অংশ নেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই ধিক্কার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্রী ইন্দ্রনীল সেন ও ক্রীড়া দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী মনোজ তিওয়ারি।

এদিনের ধিক্কার মিছিল ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দিব্যেন্দু বড়ুয়া, নিমাই গোস্বামী, মানস ভট্টাচার্য, বিকাশ পাঁজি, শিবশংকর পাল, রহিম নবি, দিপেন্দু বিশ্বাস, মাধব দাস, সঞ্জয় মাঝি, প্রশান্ত চক্রবর্তী, এছাড়াও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ছিলেন দেবব্রত সরকার, ডাঃ শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত, মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে সন্দীপন ব্যানার্জি, মহামেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে মহঃ কামারউদ্দিন, ইস্তেফাক আহমেদ রাজু, আই এফ এ’র পক্ষ থেকে অজিত ব্যানার্জি, স্বরূপ বিশ্বাস ও সৌরভ পাল।

আরও পড়ুন- গলছে বরফ, চরম বি.পদ সীমার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ!

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজভবনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে এ নিয়ে বিতর্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ পশ্চিমবঙ্গ দিবস বলে যে দিনটিকে ঘিরে এত আয়োজন, ১৯৪৭ সালের সেই ২০ জুন তৎকালীন অখণ্ড বাংলা বিভাজনের বিষযটি উত্থাপিত হলে, বঙ্গভঙ্গের পক্ষে বেশি ভোট পড়ে। ফলে দু’টুকরো হয়ে যায় বাংলা। তৈরি হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এবং একটি অংশ ভারতে রয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ নামে।

 

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...