পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জেলায় জেলায় প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের সম্মিলিত কুৎসা-অপপ্রচারকে উড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকাতের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে গ্রামবাংলার ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই প্রচারে দলের রাজ্য নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে দলের নির্দেশে শুধু পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই এই জেলার সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন কুণাল। কাঁথি থেকে নন্দীগ্রাম, তমলুক থেকে এগরা, বেশ কয়েক মাস ধরে চষে ফেলেছেন তিনি। এবার পঞ্চায়েতের আগে ও সক্রিয়ভাবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

সেই আবহে দাঁড়িয়ে আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ কর্মসূচিতে বেরিয়ে ছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁকে কাছে পেয়ে নিজেদের মান-অভিমানের কথা তুলে ধরেন তৃণমূল পুরোনো দিনের বেশকিছু কর্মী-সমর্থক। পুরনো কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা বহুদিন থেকে দলের হয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করলেও, তাঁদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকী, বর্তমানে দলের বৈঠক-সভায় ডাকও পান না তাঁরা। হেলায় সেকথা উড়িয়ে না দিয়ে অভিযোগ শোনামাত্র ব্যবস্থা নেন কুণাল।
জেলার স্থানীয় নেতৃত্বকে ডেকে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন কুণাল। শুধু তাই নয়, নিজেই সঙ্গে করে পুরনো কর্মীদের ডেকে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের কর্মসূচিতে শামিল করেন। এ প্রসঙ্গে কুণাল জানান, পঞ্চায়েত ভোটে জনসংযোগের লক্ষ্যে তিনি হাঁটছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন বললেন তাঁরা সভার খবর পাননি। কেন স্থানীয় নেতারা খবর দেবেন না? তাঁর কথায় অভিমান ঘুচল। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই সভায় যান।
