Thursday, November 6, 2025

অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই লক্ষ্য! বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের হলফনামা ‘না পসন্দ’ আদালতের

Date:

Share post:

পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কেবল মনোনয়ন পর্বেই একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। সেক্ষেত্রে আদালতকে কমিশনের পরামর্শ, মানুষের আস্থা এবং ভরসা পাওয়ার মতো কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে নির্দেশ, কমিশনকে আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন ও তাদের থাকা-খাওয়ার কী ব্যবস্থা করছে কমিশন, তা জানাক কমিশন। এমনটাই চায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ভোটারের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কমিশন পদক্ষেপ করুক, এমনটাই নির্দেশ হাই কোর্টের। একইসঙ্গে কোনওভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, সিভিকদের ব্যবহার করা যাবে না বলেও কমিশনকে (State Election Commission) ফের সতর্ক করেছে আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরিবর্তী শুনানি।

তবে এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে, গত ২৪ জুন কমিশনের চিঠি প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry) জানতে চেয়েছিল, রাজ্যে আসা বাহিনী কীভাবে কাজ করবে? ‘স্ট্যাটিক’ থাকবে না বুথে থাকবে অর্থাৎ বাহিনীর ব্যবহার কী হবে? সেই চিঠির কোনও উত্তর কমিশনের তরফে মেলেনি। কেবল কোন জেলায় কত বাহিনী দরকার, সেই তথ্য জানানো হয়েছে। সেই বিষয়টি এদিন আদালতে উল্লেখ করা হয়। তবে বুথে সিসিটিভি (CCTV) বসানো নিয়ে হলফনামায় যা লেখা হয়েছে তাতে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় আদালত। পাশাপাশি যে সব নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি, সেসব পালন করে কমিশনকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এদিন রাজ্যের কাছে হাই কোর্টের আবেদন, সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে কমিশনের পাশে দাঁড়িয়ে ভোট শান্তিতে মেটাতে করতে সাহায্য করুন।

তবে এদিন মামলাকারীর তরফে বলা হয়, কমিশন চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনের কাজে সরাসরি যুক্ত করছে। এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এখানেও আদালত অবমাননা করা হচ্ছে কারণ আদালত ১৬ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের ভোটের কাজে যুক্ত করতে পারে না। এদিনের শুনানিতে আদালত কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করেনি বটে, তবে বেশ কয়কটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দেয়। রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি, যাতে তারা কমিশনকে সাহায্য করে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য, এর আগে আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে। সেটাকে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...