দল ভেঙে এনডিএ শিবিতে যোগ দিলেও রবিবার শরদ পাওয়ারকে(Sharad Pawar) নিজের রাজনৈতিক গুরু হিসেবে আগেই আখ্যা দিয়েছিলেন অজিত(Ajit Pawar)। এনসিপি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের ২৪ ঘণ্টা পর ফের সোমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন পাওয়ার কাকা-ভাইপো। এই সাক্ষাতে অজিতের সঙ্গে রয়েছেন তার সমর্থক বিধায়কেরা(MLA)। পর পর এই বৈঠকে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে মারাঠা রাজনীতিতে।

গত রবিবার দুপুর ২ নাগাদ হঠাৎ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সদলবলে সাক্ষাত করেন অজিত পাওয়ার। এই সাক্ষাত প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, পরিবারের সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাত করার অধিকার আমার রয়েছে। পাশাপাশি প্রফুল্ল প্যাটেলকে বলতে শোনা যায়, “আজ আমরা আমাদের ঈশ্বর এবং আমাদের নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলাম। কোনও রকম আগাম অনুমতি ছাড়াই আমরা শরদ পাওয়ারের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আমরা ওনাকে অনুরোধ করেছি, উনিই সিদ্ধান্ত নিন কীভাবে এনসিপি একজোট হয়ে থাকতে পারে।” সেই বৈঠকে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিয়া সুলে, জয়ন্ত পাটিলের মতো এনসিপি নেতারা। তবে সেই বৈঠকেই ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের শরদ ও অজিতের বৈঠকে ভ্রু কুঞ্চিত হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের।

উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই এনসিপির ৪০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শিণ্ডে সরকারে যোগ দেন অজিত পাওয়ার। ওই দিন বিকেলেই রাজভবনে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। জানান, তিনি এনসিপি ত্যাগ করেননি। বরং এনসিপির প্রতীকে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন। জল্পনা শুরু হয়, এনসিপি ভাগ হতে চলেছে। এরপরই পদক্ষেপ নেন শরদ পাওয়ার। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় অজিত সহ তার অনুগামী বিধায়কদের। এমন পরিস্থিতির মাঝে পরপর ২ দিন শরদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন অজিত। এরপর মহা-রাজনীতিতে নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যায় কিনা সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একইভাবে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন অজিত। এরপর শরদের কৌশলী চালে সরকার গঠনের স্বপ্নভঙ্গ হয় বিজেপির। গঠিত হয় এনসিপি-কংগ্রেস ও শিবসেনার জোট সরকার। অজিতের এই সাক্ষাতকে ঘিরে এবারও সেই ঘটনার সঙ্গে যোগ খোঁজা শুরু হয়েছে।
