“প্রধানমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন”, মণিপুরে ইস্যুতে মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দলত্যাগ বিজেপি মুখপাত্রের

বিরোধীদের সুরেই বিনোদ শর্মা প্রধানমন্ত্রী ও দলের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে মণিপুরের ঘটনা দেশের মুখ পুড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে সরাতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী

মণিপুর ইস্যুতে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবার দলের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়ল বিজেপি। প্রায় আড়াই মাস ধরে জাতিদাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ মণিপুর। হিংসাথামার কোনও লক্ষণ নেই। ডাবল ইঞ্জিন মণিপুরে ব্যর্থ কেন্দ্র-রাজ্য। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন বিহার বিজেপির মুখপাত্র বিনোদ শর্মা। তাঁর অভিযোগ, মণিপুরের পরিস্থিতি দেশের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। এতবড় ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘুমোচ্ছেন। এভাবে দলে থাকা যায় না।

আরও পড়ুনঃঅফিস টাইমে বনগাঁ-শিয়ালদহ ট্রেন চলাচলে বিভ্রাট! দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

এখানেই শেষ নয়। বিরোধীদের সুরেই বিনোদ শর্মা প্রধানমন্ত্রী ও দলের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে মণিপুরের ঘটনা দেশের মুখ পুড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে সরাতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী।

সুর চড়িয়ে বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, কয়েক হাজার লোকের সামনে দু’জন মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হল। তারপরও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যে এমন কয়েকশো ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই ভয়ঙ্কর। এই মন্তব্যই প্রমাণ করে বিজেপি নেতৃত্ব মহিলাদের নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। ওই লজ্জাজনক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিনোদ। এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি দাবি করেই দল ছাড়েন তিনি। বিনোদের কথায়, “বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য আজ লজ্জিত বোধ করছি। ভারাক্রান্ত মনে তাই দল থেকে পদত্যাগ করলাম।” জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়ে দলত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি।