Sunday, August 24, 2025

২৭৫ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে জমজমাট গ্যালিফ স্ট্রিটের পোষ্যের হাট

Date:

Share post:

শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিটি রোডের দিকে একটু এগিয়ে সার্কুলার ক্যানেলের ঠিক পাশের গলিতে পৌঁছালে আপনার মনে হবে ভুল করে অন্য কোথাও চলে এসেছেন। দূরের গঙ্গা থেকে ভেসে আসা বাতাস আর পাখিদের কলকাকলি।জন্তুদের চিৎকারে সকাল সরগরম।কেউ বলে পাখির হাট কেউবা পশুর হাট।আবার কারও কারও মতে গাছের হাট।আবার মাছের হাটও বটে।অবশ্যই রঙিন মাছ।

বাজারের বয়স নিয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলে জানা যায় প্রায় ২৭৫ হতে চলল এই হাটের বয়স।রবিবার গ্যালিফ স্ট্রিটে সখের হাট ব্যাবসায়ী সমিতির উদ্যোগে রক্তদান শিবিরও অনুষ্ঠিত হল।উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সংসদ তথা সাংবাদিক কুণাল ঘোষ, কলকাতা কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টরা।এদিন প্রায় ১২০ জন রক্তদান করেন।এদের অধিকাংশই পোষ্যের হাটে আসা লোকজন।

কুণাল ঘোষ বলেন, মানুষের অবসাদ কাটাতে পোষ্যের হাট যে কতটা জরুরি তা যারা পোষ্য ভালোবাসেন তারাই বুঝবেন। এটির নাম শখের হাট ব্যবসায়ী সমিতি , কিন্তু এদের সঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে। এর বয়স কলকাতার থেকে সামান্য কম। সবমিলিয়ে পোষ্যকে ভালোবেসে এই হাট সমস্ত নিয়মবিধি মেনে চলে।এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এবং পুরনো হাট এটি।এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য। এখানে যারা ব্যবসা করেন ৫ লক্ষের বেশি মানুষের অন্ন সংস্থান ও কর্ম সংস্থান এর সঙ্গে জড়িত।কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার সঙ্গে এই পোষ্যের হাটের নিবিড় যোগাযোগ।পোষ্যকে ভালবেসে লক্ষাধিক মানুষ প্রতি রবিবার এখানে হাজির হন।

এখানে কী নেই। ছোট্ট মলি থেকে জায়েন্ট আরোয়না। গোল্ডফিস, ডিসকাস প্যারোট মনের আনন্দে পাক খাচ্ছে মিষ্টি জলেই। মেরিন ফিসও আছে তবে তা সংখ্যায় কম। আর তারপর গাছ আর ফুল।কত যে নাম আর ততোধিক বাহার।প্লাস্টিকের রঙবেরঙের টব থেকে মাটির সুদৃশ্য টব এখানেই পাওয়া যাবে।সঙ্গে গাছ পরিচর্যার ছুরি কাঁচি। জল দেওয়ার ঝারি।আর গাছে দেওয়ার সব রকম সার তো আছেই।মাটি নেই তো কি হবে, ঘরে গাছ বসাবেন অবশ্যই । তাই ছোবরা আছে ভালো নাম কোকোপিট।রজনীগন্ধা, লিলি গাছ যেমন পাওয়া যাবে, ঠিক তেমনি অর্কিড ।ডালিয়া, জবা, গোলাপ, নয়নতারা কী চাই! গুল্ম তাও আছে খুশির হাটে। এককথায় সব ধরনের শখ এক জায়গায় মিটতে পারে এই খুশির হাটে। বনেদিয়ানা থেকে হালফিলের করপোরেট কালচার ।সব এখানে মিলেমিশে একাকার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...