Tuesday, August 26, 2025

‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ই ভারত: ‘সনাতন ধর্ম’ বিতর্কে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা মমতার

Date:

Share post:

তামিলনাড়ুর(Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের(MK Stalin) পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিনের(Udaynidhi Stalin) সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে(Sanatana dharma) মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের মূল ভিত্তি তুলে ধরে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন তিনি। জানালেন, “আমাদের উচিৎ সব ধর্মকে সম্মান করা।”

সোমবার নবান্নে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ ভারতের জনগণকে সম্মান করি। তবে তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ সকল ধর্মকে সম্মান করুন। প্রত্যেক ধর্মের আলাদা আলাদা অনুভূতি আছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের দেশের মুল ভিত্তি হল ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’। আমি সনাতন ধর্মকে সম্মান করি এবং আমরা বেদ থেকে শিক্ষালাভ করি। আমাদের রাজ্যে অনেক পুরোহিত আছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের পেনশন দেয়।”

এর পাশাপাশি ভারতের বহু সংখ্যক সনাতন ধর্মালম্বি মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, “সারা দেশে হিন্দুদের বহু মন্দির রয়েছে। আমরা মন্দিরের পাশাপাশি মসজিদ, গীর্জা সব জায়গায় যাই। ফলে আমাদের এমন কোনো মন্তব্য করা উচিত নয় যা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করে।” একইসঙ্গে উদয়নিধির মন্তব্য প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, “ওনার বয়স অনেক কম। তিনি কেন এবং কী কারণে এই মন্তব্য করেছেন তা আমি জানি না। তবে আমি মনে করি, প্রতিটি ধর্মকে সম্মান করা উচিত।”

উল্লেখ্য, উদয়নিধি স্ট্যালিন শনিবার চেন্নাইয়ের সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন, “কিছু জিনিসের প্রতিবাদ করা যায় না। সেগুলির অবলুপ্ত ঘটানো দরকার। আমরা ডেঙ্গু, মশা, ম্যালেরিয়া কিংবা করোনার বিরোধিতা করি না। আমরা সেটা নির্মূল করি। ঠিক সেভাবেই আমাদের সনাতন ধর্মকে অবলুপ্ত করতে হবে। ‘সনাতন’ শব্দটা এসেছে সংস্কৃত থেকে। এটা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরুদ্ধে। কারণ এই ধর্ম সামাজিক ন্যায়কে অস্বীকার করে। বর্ণভেদ প্রথায় বিশ্বাস করে।” পাশাপাশি তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “এই ধর্ম নারীদের স্বামীর সঙ্গে সহমরণে যেতে বাধ্য করেছে। এই ধর্ম স্বামীহারা নারীদের সাদা থান পরতে বাধ্য করে। অন্যদিকে, ‘দ্রাবিড়ম’ অর্থাৎ ডিএমকে অনুসৃত দ্রাবিড় মতাদর্শ অনুসরণ করে আমাদের সরকার মহিলাদের জন্য বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে। মেয়েদের কলেজের শিক্ষার জন্য মাসে হাজার টাকা সহায়তা দিচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সব মহিলা মাসে হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।”

spot_img

Related articles

ট্রাম্পের ছোঁয়া পলকাটা হিরেতে! মোদির গুজরাটেই বেকার অন্তত ১ লক্ষ শ্রমিক

বন্ধুত্বের বাহানায় বিপুল ক্ষতির মুখে গোটা দেশকে ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসানো শুল্কের...

ভয় পেয়েই কুকথা শান্তনুর! ফাঁস মতুয়াদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি

মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আধিপত্য কায়েমে বিজেপির নোংরা রাজনীতি দীর্ঘদিনের। ঠাকুরবাড়ির...

নীরবে প্রস্তুতি শামির, দলীপ দিয়েই কামব্যাকের লড়াই

কয়েকদিন আগে এশিয়া কাপের(Asia Cup) দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে তিনি ফিরবেন...

রবি ঠাকুরের ‘কঙ্কাল’ থেকে ‘কনকচাপা’: পার্থর নাটক দেখতে ভিড় জিডি বিড়লা সভাঘরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ভাণ্ডার অবলম্বনে একের পর এক নাটক তৈরি হয়েছে— শারদোৎসব, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, ফাল্গুনী, রক্তকরবী আজও...