প্রিয় ব্যান্ডের তারকাদের সঙ্গে দেখা করতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে পাড়ি দিলেন সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রী (School Girls from Beldanga)। কিন্তু এই যে কার্যত অসম্ভব। হাওড়ার শালিমার থেকে তাঁদের উদ্ধারও করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন বাড়ি থেকে পালিয়ে এভাবে দুঃসাহসিক কাজ করতে গিয়ে বড় কোন বিপদের মুখে পড়ছে না তো এই প্রজন্ম?হয়তো নাবালিকারা মাদক বা নারী পাচারের শিকার হয়ে যেতে পারেন, আশঙ্কা করছে পুলিশ।

ব্যান্ড-প্রীতি যে কিছু পড়ুয়ার জীবনে ‘খ্যাপামি’র পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সে কথা মানছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। দক্ষিণ কোরিয়ারই একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে এ রাজ্যের ছেলেমেয়েদের মনে যে, তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চাইছে সিওল – বিষয়টা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি ঘটনা। যে তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাঁদের তিন জনের ক্ষেত্রেই কয়েকটা বিষয় কমন, যেমন তিন জনের মোবাইলেই ‘প্লে-লিস্ট’ জুড়ে কোরীয় পপ গানের লম্বা তালিকা। এই তিনজনের ঘরে ওই সঙ্গীতশিল্পীদের ছবি। এরা গোলাপি-সাদা-সবুজ চুল, হালকা মেক-আপ, গলায় হার, কানে দুল, হাই-ফ্যাশন্ড জুতো পরা একদল মিষ্টি ছেলে, যারা আসলে ‘ব্যাংটন সোনিয়েন্ডন’, সংক্ষেপে ‘BTS’ বলেই পরিচিত। এই শিল্পীদের চোখধাঁধানো প্রযোজনা উঠতি প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মন জয় করে আসছে। কিন্তু এই জনপ্রিয় ব্যান্ড-প্রীতি যে এমন ‘খ্যাপামি’র পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
