দুজন মানুষের একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সমাজ বলছে সেই সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি না থাকলে তা বৈধ হয় না। বিপরীত লিঙ্গের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সম লিঙ্গের বিয়েতে (Same sex marriage) কি আদৌ আইনি স্বীকৃতি মেলা সম্ভব? এই একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। মামলা উঠেছে দেশের শীর্ষ আদালতে। অবশেষে আজ রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সমকামী সম্পর্ককে আগেই বৈধতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত, তবে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিল না সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সমকামী সম্পর্ককে বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর, চলতি বছরের মে মাস থেকে সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে চলছে শুনানি। আজ রায়দান হল। প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত ৫ বিচারপতির বেঞ্চে এর শুনানি হয়। ৫ বিচারপতির মধ্যে ছিলেন বিচারপতি এস.কে কাউল, বিচারপতি এস. আর ভাট বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পি.এস নরসিমহা। প্রধান বিচারপতি শুনানিতে বলেন “বিশেষ বিবাহ আইনে বদল আনতে হলে সেটা সংসদ করতে পারবে। আদালতে কোনও ধারা যুক্ত করলে তা হস্তক্ষেপ করা হবে।” অর্থাৎ সহবাসে সম্মত হলেও সম লিঙ্গের বিয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতেই সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম আদালত। প্রধান বিচারপতি এদিন মামলার রায়দানে বলেন, বিশেষ বিবাহ আইনে পরিবর্তন করা উচিত কিনা সেটি সংসদের ভেবে দেখা উচিত। যেকোনও সমাজ বা দেশের কোনও ব্যক্তির জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার মধ্যে সেই ব্যক্তি জীবনের দিশা খুঁজে পান। এটা সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু আইনে কোথাও সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতার কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনেই আইন পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
