আজ সপ্তমী। শাস্ত্র মেনে সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের ভিড়। আজ থেকেই দেবী দুর্গার মূল পুজো শুরু। যদিও মণ্ডপে মন্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড় যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে পুজো এখন মধ্য গগনে। ষষ্ঠীর রাতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে ঢাকের বাদ্যি, এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে আনাগোনা । অন্যদিকে দেদার মজা আর চুটিয়ে খানাপিনা। এই না হলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তবে রাত জেগে যাঁরা ঠাকুর দেখছেন কিংবা সকাল হতে না হতেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপদে এক মণ্ডপ থেকে অন্য মন্ডপে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যাঁরা সেই পুলিশের ভূমিকা কিন্তু এ পর্যন্ত বেশ প্রশংসার যোগ্য।
কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র পুজোর আনন্দে ঝলমলে মেজাজ। তিলোত্তমার সব রাস্তাই প্যান্ডেলমুখী হয়েছে ষষ্ঠীর সকাল থেকে। রাত যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে ভিড়। অথচ কোথাও স্তব্ধ হয়নি ট্র্যাফিক ব্যবস্থা। কুর্নিশ কলকাতা পুলিশকে!আজ সপ্তমীর সকালেও নবপত্রিকা স্নানে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
২০২৩ এর দুর্গাপুজোয় চিরাচরিত ভিড় টিকিয়ে রেখেছে একডালিয়া, সিংহী পার্ক থেকে বাগবাজার সর্বজনীন। অভিনবত্বের চমক দিচ্ছে বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ থেকে চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ। একদিকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, অন্যদিকে টালা প্রত্যয়। শুক্রবার ষষ্ঠীতেও খোলা ছিল বহু অফিস। সে কারণে নিত্যযাত্রীর ভিড় ছিল রাস্তায়। তবে সকাল থেকে রাস্তায় ঢল নেমেছিল দর্শনার্থীদের। রাতে ভিড় বাড়লেও ট্র্যাফিকের কোনও সমস্যা হতে দেয়নি কলকাতা পুলিশ। রুবি থেকে রাসবিহারী ক্রসিং- এর দিকে দর্শনার্থীদের পারাপারের জন্য কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগলেও খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। উত্তরেও শোভাবাজার, নলিন সরকার স্ট্রিট, হাতিবাগান চত্বরে যান চলাচল স্বাভাবিক থেকেছে। দক্ষিণের নাকতলা উদয়ন সংঘ, সন্তোষপুর লেকপল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবু বাগানেও ভিড় নেহাত কম নয়। শ্রীভূমির ঠাকুর দেখার ভিড়ের চাপে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় ধীর গতিতে গাড়ি চলেছে কিন্তু ট্র্যাফিক সম্পূর্ণভাবে আটকে থাকে নি। আধ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা মতো। যানবাজারে রানি রাসমণির বাড়ির পুজো, কলুটোলা স্ট্রিটে মতি শীলের বাড়ির পুজো দেখার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউকে সচল রেখেছে কলকাতা পুলিশ।