রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে এবার তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahuaa Moitra) বিরুদ্ধে নতুন চক্রান্ত শুরু করল BJP। গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে CBI তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এই ঘটনার কথা জানানো হয়নি। যে কোনও জায়গায় কোণঠাসা হলেই এজেন্সি দিয়ে হেনস্থার রাস্তায় হাঁটে বিজেপি। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই বিষয় নিয়ে মোদি সরকারকে ধুয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর মতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধে হেরে গিয়ে এজেন্সিকে অপব্যবহার করছে বিজেপি। সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahuaa Moitra) ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।

মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। সাংসদ মহুয়ার বক্তব্য জানতে তাঁকে ডেকে পাঠায় লোকসভার এথিক্স কমিটি। কিন্তু অবমাননাকর প্রশ্ন করায় বৈঠকের মাঝপথে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন মহুয়া-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া জানান, ‘‘ওরা নোংরা প্রশ্ন করছে।’’ মহুয়াকে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়, তার বিরোধিতায় সরব হন বিএসপির সাংসদ দানিশ আলিও। এর জেরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। চিঠি লিখে তিনি জানান, এথিক্স কমিটির বৈঠকে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে। মহিলা সাংসদ হিসেবে সুরক্ষার দাবি জানান মহুয়া।

এর পরেই তদন্তকে নির্লজ্জ ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বিজেপি (BJP)। কমিটি কোনও সিদ্ধান্তের আসেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুব (Nishikant Dube) দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে না কি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও, সেই বিষয়ে তখন কোনও তথ্য ছিল না। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই পোস্টের পরেই পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তীব্র আক্রমণ করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এবার সিবিআই সূত্রে খবর, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল। তাঁর নির্দেশ মতোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর।

তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেন, এটা বিজেপির চক্রান্ত। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে পারছে না। সেই কারণে একএক ক্ষেত্রে একরকম গল্প তৈরি করেছে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল তথা বিরোধী নেতৃত্বকে হেনস্থার চেষ্টা চালাচ্ছে। কুৎসার রাজনীতি বিজেপির কালচার। মহুয়ার বিরুদ্ধে যা করছে, সেটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।
