যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন: ১৪ জন ইজরায়েলি ও ৪৩ জন প্যালেস্তিনীয়ের মুক্তি

প্রায় দু মাস ধরে চলতে থাকা লাগাতার গুলি-বোমার শব্দ ও রক্তাক্ত মৃত্যুর পর শান্ত সকাল দেখছেন গাজাবাসী। গাজায় ৪ দিনের সাময়িক যুদ্ধ বিরতির আজ দ্বিতীয় দিন। একইসঙ্গে গতকাল ২৫ পণবন্দির মুক্তির পর আজ ১৪ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিতে চলেছে হামাস। অন্যদিকে শর্তমাফিক ৩৯ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর আজ ৪৩ জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দিতে চলেছে ইজরায়েল।

 

কাতার সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির মধ্যস্ততায় গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল। এই যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসের তরফে মুক্তি দেওয়া হবে পণবন্দি ৫০ জনকে। অন্যদিকে ১৫০ জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দেবে ইজরায়েল। পণবন্দির মুক্তির দ্বিতীয় দফায় ইজরায়েল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, হামাসের (Hamas) কাছে বন্দী ১৪ জন ইজরায়েলিকে মুক্তির বিনিময়ে ৪৩ জন প্যালেস্তিনীয়কে ছাড়বে ইজরায়েল। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, আরও পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে একদিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে। টাইমস অফ ইজরায়েলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১ জন ইজরায়েলি পণবন্দি মুক্তির পরিবর্তী ৩ জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত ইজরায়েল (Israel)। বর্তমান যুদ্ধবিরতিতে বন্দিমুক্তির পাশাপাশি খাবার, জল, ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে গাজায়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে মোট ২৪০ জনকে পণবন্দি করেছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এরপর পাল্টা আকাশপথে অভিযানের পাশাপাশি গাজায় ঢুকে স্থলপথে বিস্ফোরক হামলা শুরু করে ইজরায়েল সেনা বাহিনী। যুদ্ধে গাজায় মৃত্যু সংখ্যা ১৪ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুই পক্ষের চলমান সংঘর্ষে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি এবং সেই শর্তে পণবন্দিদের মুক্তির খবরে কিছুতেই খুশি হতে পারছে না গাজাবাসী। ইজরায়েলের থেকে মুক্তি পেলেও ফিরে এসে তাঁরা থাকবেন কোথায়? খাবেন কী? গাজার অধিকাংশই তো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিবারের কেউ বেঁচে আছে কিনা সেই খবর টুকুও নেই। বেঁচে থাকলেও কোথায় আছে তাও কেউ জানে না। আজ মুক্তি পেলেও পুনরায় যুদ্ধ শুরু হলে আবার তাঁদের বন্দী করা হবে না সেই নিশ্চয়তাও নেই। এক চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় ভুগছে গোটা গাজা।

Previous articleএজেন্সি-রাজ! রাজনৈতিক প্রতিহিং.সায় মহুয়ার বিরুদ্ধে নয়া চ.ক্রান্ত বিজেপির
Next articleবিশ্বকাপের উপর পা মার্শের, থানায় দায়ের করা হল অভিযোগ