বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির সভায় বক্তব্য রাখতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কলকাতা পৌঁছনোর আগেই শহর জুড়ে পড়ল ফ্লেক্স। যেখানে ফ্লেক্সে লেখা, “হ্যাসট্যাগ মোটা ভাই ভোট নাই”। তৃণমূল আইটি সেলের তরফে কলকাতা শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে এই ফ্লেক্স। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অমিত শাহর উদ্দেশ্যে “মোটা ভাই ভোট নাই নামে” পোস্টারে মুড়ে ফেলা হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের আইটি সেলের তরফে এইভাবেই অমিত শাহ বিরোধী প্রচার শুরু করা হয়েছে। নাগেরবাজার মোড়, ফুলবাগান আইল্যান্ড, ফুলবাগান এসবিআই, কাঁকুড়গাছি আইল্যান্ড, কাঁকুড়গাছি মোড়, পুরনো পেট্রোল পাম্প, হাডকো টু রাজারহাট ক্রসিং, বিধাননগর স্টেশন, উল্টোডাঙ্গা ফ্লাইওভার, ভিআইপি রোড কানেক্টর, সল্টলেক বিকাশ ভবন, করুণাময়ী সল্টলেক, বিধাননগর আজাদহিন্দ, কলেজ মোড়, হাতিবাগান মোড়, শ্যামবাজার মোড়, গিরিশ পার্ক (সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ক্রসিং), গিরিশ পার্ক (বিবেকানন্দ ক্রসিং), শোভাবাজার, বিবেকানন্দ রোড, রাজাবাজার মোড় ,মৌলালি এস এন ব্যানার্জি রোড ক্রসিং,তালতলা মোড়,চাঁদনী চক মেট্রো,ডরিনা ক্রসিং, হেঁদুয়া বিধান সরণী, সুকিয়া স্ট্রিট মোড়, রাজা দিনেন্দ্র স্ট্রীট ক্রসিং, শ্রীমানি বাজার রবীন্দ্র সরণী, রাম মন্দির পেট্রোল পাম্প, হ্যারিসন রোড, (এমজি রোড, আর্মহারস্ট স্ট্রীট ক্রসিং), শিয়ালদা স্টেশন, বউবাজার ক্রসিংয়ে এই পোস্টার চোখে পড়েছে। এছাড়াও শহরের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এইভাবে শাহ-বিরোধী প্রচার চালানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এমনটা জানিয়েছেন তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভোট এলেই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেন। বাংলার সমস্যার সময় এদের কাউকে দেখা যায় না। এমনকী বাংলার মানুষের টাকাও আটকে দেন এই বিজেপি নেতারা। তারপরও ভোট আসছে দেখে ফের আসছেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই এক চিত্র বাংলার মানুষ দেখেছিল। সেবার ভোটে ফলাফল কী হয়েছিল তা সবাই জানে। এখন বিজেপির ৬০ জন বিধায়ক আছেন কি না সেটাও কেউ জানে না। অমিত শাহরা যত বাংলায় আসবেন, ততই বিজেপির দুরাবস্থা বাড়বে।’ এখানেই শেষ নয়। অমিত শাহকে কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশুর পোস্ট, “আমাদের প্রত্যেকের চেনাজানা এমন কিছু আত্মীয় আছেন, যাদের বিপদে, আপদে, দুঃখে-কষ্টে পাশে পাওয়া যায় না। কিন্তু একবার ফোন করে বলুন, “বাড়িতে খাসির মাংস রান্না হচ্ছে”… দেখবেন, কি অনায়াসে সবাই চলে এসেছে! বহিরাগত রাজনৈতিক নেতারাও এমনই। বাংলার বিপদে-আপদে এদের দেখা যায় না। উপরন্তু বাংলার হকের টাকা হজম করে নেন। কিন্তু নির্বাচনী মটন খাওয়ার লোভে ভোটের ঠিক আগে আগেই সবার আনাগোনা শুরু হয়। কিন্তু বাংলা একটু আলাদা! তাই আমরা বলছি, অকারণ পরিশ্রম করছেন সাহেব.. হ্যাজটাগ মোটা ভাই ভোট নাই।”
