Sunday, May 4, 2025

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা: অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বিচারপতি, বি.স্ফোরক কুণাল

Date:

Share post:

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের মদত দিচ্ছেন, উৎসাহিত করছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনও কর্মসূচি জাতীয় সংগীত দিয়েই শেষ হয়। মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন না। জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবহার করছেন, এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিচারপতির ভ্রান্ত ধারণার পরিচয় মেলে। বরং, বিচারপতি হয়ে যে বা যাঁরা জাতীয় সংগীত অবমাননা করেছেন, তাঁদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন জয় সেনগুপ্ত।

এই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, জাতীয় সঙ্গীতকে কেউই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না! তারই পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, “ইতিহাস ভূগোল না জেনে একটা কথা বলে দেবেন, আর সেটা হজম করতে হবে কোর্ট বলেছে বলে, এটা বোধহয় ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে জাতীয় সংগীত সবসময় হয়। এটা সংবাদ মাধ্যম জানে, রাজনৈতিক কর্মীরা জানেন, আর দলীয় কর্মীরা তো জানেন-ই। বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল বিধায়কদের ধর্না কর্মসূচি ছিল এবং সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে জাতীয় সংগীত দিয়ে, এর মধ্যে ভুলটা কোথায়?

জাতীয় সংগীত যখন যেখানে হয় তখন আমরা সকলে মিলে দাঁড়িয়ে সম্মান করি। জাতীয় সংগীত তো খুব বেশি হলে ৫২ থেকে ৫৮ সেকেন্ডের ব্যাপার। ওইটুকু একটু দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়করা আবার স্লোগান দিতেই পারতেন। কিন্তু সেদিন তাঁরা সেটা করেনি। সেদিন জাতীয় সংগীতের অবমাননা হয়েছিল। জাতীয় সংগীতকে যারা অবমাননা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কথার জাগলারি, বিভ্রান্তিকর পর্যবেক্ষণে তাদের মদত দিচ্ছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।”

বিচারপতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কি জানেন টিভিতে যখন ভারতের খেলা হয় তার আগে যখন জাতীয় সংগীত হয় তখন যে যেখানে থাকি আমরা উঠে দাঁড়াই। এবার তাহলে জাতীয় সংগীত সময়ে কারা দাঁড়াবে কারা দাঁড়াবে না কে কোথায় থেকে দাঁড়াবে কখন দাঁড়াবে এটার একটা গাইডলাইন ঠিক করে দিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।”

তাঁর আরও সংযোজন, “জাতীয় সংগীত যখন যাঁর কানে যাবে তখন তাঁদের উচিত এই সংগীতকে শ্রদ্ধা জানানো সম্মান জানানো। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের বিরাট সংখ্যক বিধায়করা জাতীয় সংগীত গাইছিলেন আর এটা বিজেপির যারা হইট্টগোল করছিল, তারা শুনতে পায়নি হতেই পারে না। তৃণমূল সেদিন অনুমতি নিয়ে বিধানসভার ভিতরে কর্মসূচি নিয়েছিল। আর বিজেপি বিনা অনুমতিতে তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য সেই জায়গায় যায়।কারণ, সেদিন অমিত শাহর সভাটি ফ্লপ হয়েছিল। আর সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই এই কাণ্ড করেছে বিজেপি। আর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর বিভ্রান্তিকর পর্যবেক্ষণে জাতীয় পতাকার যারা অবমাননা করল, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, উৎসাহিত করছেন।”

আরও পড়ুন:অনলাইন গেমের খেলোয়াড়রা সা.বধান! এবার তাড়াতাড়ি খালি হবে পকেট

 

 

 

spot_img
spot_img

Related articles

মঞ্চস্থ হল ঢাকুরিয়া ব্রাত্যজন আয়োজিত ‘মূল্য ধরে নেবেন’

শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় মধুসূদন মঞ্চে মঞ্চস্থ হল ঢাকুরিয়া ব্রাত্যজন আয়োজিত নাটক মূল্য ধরে নেবেন। মূল উপদেষ্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।...

চল্লিশ চাঁদের আয়ু, উৎপল সিনহার কলম

আমার কবিতা অসহায় যত পাগলি মেয়ের প্রলাপ আমার কবিতা পোড়া ইরাকের ধ্বংসে রক্তগোলাপ আমার কবিতা মেধা পাটেকর শাহবানু থেকে গঙ্গা আমার কবিতা অলক্ষ্মীদের বেঁচে...

রোমারিও শেফার্ডের ঝোড়ো ইনিংস, ধোনিদের হারাল বিরাটরা

শেষ মুহূর্তে রোমারিও শেফার্ডের(Romario Shepherd) একটা ঝোরো ইনিংস। আর সেটাই যেন কলকাতা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর(RCB) জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত...

যেতে পারেন: দিলীপ নিয়ে কর্মীদের ‘অস্বস্তিকর’ পোস্টে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা শমিকের

দিলীপ ঘোষের সময়েই পরিসংখ্যানে বাংলায় বিজেপি সবথেকে ভালো অবস্থানে ছিল। সেই নেতার দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে যাওয়াকে ঘিরে...