অধ্যক্ষের আনা ‘উপহার’ নিতে অস্বীকার! বিজেপি বিধায়কদের আচরণে চ.রম ক্ষু.ব্ধ তৃণমূল

তবে এদিন অধিবেশন থেকে বিজেপি ওয়াক আউট করে যাওয়ার পরও স্পিকার বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকেছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে।

ফের একবার সংসদীয় সৌজন্যের চিরন্তন ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত করল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Assembly) অন্দরে শাসক বিরোধী চাপানউতোর যতই তীব্র থেকে তীব্রতর হোক না কেন বাইরে পারস্পরিক সু-সুসম্পর্ক বজায় রাখা বিধানসভার চিরকালীন ঐতিহ্য। আর সেই ঐতিহ্যকেই এবার অবমাননার অভিযোগ উঠল গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার চলতি বিধানসভা অধিবেশনের (Assembly Session) শেষ দিনে বিরোধীদের লজ্জাজনক আচরণের স্বাক্ষী থাকল বিধানসভা। এবার সবকিছু ছাপিয়ে বিধানসভার অভিভাবক তথা স্পিকারকেই (Speaker) অপমান করলেন বিজেপি বিধায়করা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিধানসভায় সব বিধায়কদের জন্য পেয়ারা নিয়ে এসেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিধানসভা এলাকা বারুইপুর থেকে ২৯৪ জন বিধায়কের জন্য পেয়ারা নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু তারপরও বিরোধীদের থেকে এতটুকু সম্মান তো তিনি পেলেনই না, উল্টে তাঁকে অসম্মান করা হল। এদিন স্পিকারের দেওয়া পেয়ারাও ‘বয়কট’ করে বিজেপি। সূত্রের খবর, এদিন যখন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হইহট্টগোল চলছে, তখনই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সব বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সবাই পেয়ারা নিয়ে যাবেন’। যদিও এরপরও স্পিকারের অনুরোধ, বলা ভালো উপহারকে অগ্রাহ্য করেই বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন।

এবছরই প্রথম নয়, প্রতিবছরই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিধানসভা এলাকা বারুইপুর থেকে পেয়ারা বিধায়কদের জন্য নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবারও সেরকম নিয়ে এসেছিলেন। তবে এদিন অধিবেশন থেকে বিজেপি ওয়াক আউট করে যাওয়ার পরও স্পিকার বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকেছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। তিনি বিজেপি বিধায়কদের জন্য পেয়ারা নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তারপরও মনোজ টিগ্গা পেয়ারা প্রত্যাখ্যান করেন বলে খবর। কারণ হিসাবে বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ করা হচ্ছে। সেকারণেই তাঁরা পেয়ারা নেবেন না।

অধ্যক্ষ অবশ্য এদিন অধিবেশন শেষে প্রথামাফিক ধন্যবাদ জ্ঞাপক প্রস্তাবের শেষে জবাবী ভাষণে শাসক দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের বিধায়কদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিধানসভার বাইরে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের থেকে বিধানসভার ভিতর থেকে কাজকর্মে আরও বেশি করে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বিরোধীদের পরামর্শ দেন। তবে বিজেপি বিধায়কদের এমন আচরণে তৃণমূল চরম নিন্দা করে জানায়, বাংলায় শাসক–বিরোধী আগেও ছিল। বিরোধিতা থাকলেও রাজনৈতিক সৌজন্য দেখা যেত। আজ বিজেপি তা কার্যত শেষ করে দিল।

 

 

 

Previous articleজাতীয় সঙ্গীত অবমাননা: অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বিচারপতি, বি.স্ফোরক কুণাল
Next articleমরসুমের প্রথম তুষারপাত! বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা