জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা: অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বিচারপতি, বি.স্ফোরক কুণাল

বিচারপতি হয়ে যে বা যাঁরা জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করেছে, তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের মদত দিচ্ছেন, উৎসাহিত করছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনও কর্মসূচি জাতীয় সংগীত দিয়েই শেষ হয়। মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন না। জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবহার করছেন, এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিচারপতির ভ্রান্ত ধারণার পরিচয় মেলে। বরং, বিচারপতি হয়ে যে বা যাঁরা জাতীয় সংগীত অবমাননা করেছেন, তাঁদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন জয় সেনগুপ্ত।

এই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, জাতীয় সঙ্গীতকে কেউই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না! তারই পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, “ইতিহাস ভূগোল না জেনে একটা কথা বলে দেবেন, আর সেটা হজম করতে হবে কোর্ট বলেছে বলে, এটা বোধহয় ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে জাতীয় সংগীত সবসময় হয়। এটা সংবাদ মাধ্যম জানে, রাজনৈতিক কর্মীরা জানেন, আর দলীয় কর্মীরা তো জানেন-ই। বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল বিধায়কদের ধর্না কর্মসূচি ছিল এবং সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে জাতীয় সংগীত দিয়ে, এর মধ্যে ভুলটা কোথায়?

জাতীয় সংগীত যখন যেখানে হয় তখন আমরা সকলে মিলে দাঁড়িয়ে সম্মান করি। জাতীয় সংগীত তো খুব বেশি হলে ৫২ থেকে ৫৮ সেকেন্ডের ব্যাপার। ওইটুকু একটু দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়করা আবার স্লোগান দিতেই পারতেন। কিন্তু সেদিন তাঁরা সেটা করেনি। সেদিন জাতীয় সংগীতের অবমাননা হয়েছিল। জাতীয় সংগীতকে যারা অবমাননা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কথার জাগলারি, বিভ্রান্তিকর পর্যবেক্ষণে তাদের মদত দিচ্ছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।”

বিচারপতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কি জানেন টিভিতে যখন ভারতের খেলা হয় তার আগে যখন জাতীয় সংগীত হয় তখন যে যেখানে থাকি আমরা উঠে দাঁড়াই। এবার তাহলে জাতীয় সংগীত সময়ে কারা দাঁড়াবে কারা দাঁড়াবে না কে কোথায় থেকে দাঁড়াবে কখন দাঁড়াবে এটার একটা গাইডলাইন ঠিক করে দিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।”

তাঁর আরও সংযোজন, “জাতীয় সংগীত যখন যাঁর কানে যাবে তখন তাঁদের উচিত এই সংগীতকে শ্রদ্ধা জানানো সম্মান জানানো। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের বিরাট সংখ্যক বিধায়করা জাতীয় সংগীত গাইছিলেন আর এটা বিজেপির যারা হইট্টগোল করছিল, তারা শুনতে পায়নি হতেই পারে না। তৃণমূল সেদিন অনুমতি নিয়ে বিধানসভার ভিতরে কর্মসূচি নিয়েছিল। আর বিজেপি বিনা অনুমতিতে তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য সেই জায়গায় যায়।কারণ, সেদিন অমিত শাহর সভাটি ফ্লপ হয়েছিল। আর সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই এই কাণ্ড করেছে বিজেপি। আর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর বিভ্রান্তিকর পর্যবেক্ষণে জাতীয় পতাকার যারা অবমাননা করল, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, উৎসাহিত করছেন।”

আরও পড়ুন:অনলাইন গেমের খেলোয়াড়রা সা.বধান! এবার তাড়াতাড়ি খালি হবে পকেট

 

 

 

Previous articleঅনলাইন গেমের খেলোয়াড়রা সা.বধান! এবার তাড়াতাড়ি খালি হবে পকেট
Next articleঅধ্যক্ষের আনা ‘উপহার’ নিতে অস্বীকার! বিজেপি বিধায়কদের আচরণে চ.রম ক্ষু.ব্ধ তৃণমূল