Tuesday, November 11, 2025

২২ বছরেও ছবিটা বদলাইনি, সংসদে হা.মলার ‘পুনরাবৃত্তি’ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধ.লেন সুদীপ!

Date:

Share post:

তারিখ ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার), ২০০১ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ফারাক শুধু ২২ বছরের। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। সংসদের নিরাপত্তা এখনও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। দুবারই বিজেপি সরকারের আমলে সংসদের নিরাপত্তায় গলদ প্রকাশ্যে এল। তখনও ছিলেন, এখনও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। দু দুবার হামলা হয়ে গেল, আজকের ঘটনা প্রমাণ করে দিল সংসদের ভেতরে কতটা অসুরক্ষিত সাংসদরা। স্মৃতিচারণায় ঠিক এভাবেই বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন সুদীপ।

তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদের কথায়, ” সেদিনও আমি পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলাম। সেদিন ছিলাম সংসদের সেন্ট্রাল হলে আর বুধবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার মধ্যে। তবে সেদিনের সাথে আজকের তফাৎ অনেকটাই। ২০০১ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। সেদিন একজন সাংসদ এরও ক্ষতি হয়নি , সংসদকে রক্ষা করেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা আর বুধবারের হামলায় সাংসদরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে মাঠে নামেন। সেদিন পার্লামেন্টকে রক্ষা করতে প্রাণ গিয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। আর বুধবারের ঘটনার পর জানা গেল মোদির স্বপ্নের সংসদ ভবন রক্ষার জন্য এখনও প্রায় ১৬০ জন নিরাপত্তা কর্মীর শূন্যস্থানই পূরণ হয়নি।” ঢাকঢোল পিটিয়ে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে সংসদ ভবনের উদ্বোধন হল , যেখানে জনপ্রতিনিধিরা যাচ্ছেন ,দেশের আইন কানুন এবং সুরক্ষা নিয়ে চর্চা হচ্ছে তা যে কতটা অসুরক্ষিত এদিনের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল।

২২ বছর আগের স্মৃতিচারণায় সুদীপ বলেন, “সেদিন এগারোটার সময় সভা শুরু হয়ে ১১:০২ মিনিটে ছুটি হয়ে যায়। এক সংসদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করার পর আমরা সেন্ট্রাল হলে বসে ছিলাম। সেই সময় মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এল কে আদবানি। তাঁর নিরাপত্তায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন রক্ষীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দেন সেন্ট্রাল হলের দরজা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে কেউ প্রবেশের সুযোগ না পায় অর্থাৎ তখনও তিনি সাংসদদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সেদিন এক মিনিটের শোকসভা হয়ে সংসদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেই বড় কোন ক্ষতি হয়নি। আর বুধবার ভরা লোকসভায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়লো। মোদি সরকারের এটা যে কত বড় ব্যর্থতা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ” প্রথম থেকেই যে পার্লামেন্ট তৈরি করাকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিনের ঘটনা সেই নতুন পার্লামেন্টকে কলঙ্কিত করে দিল । বুধবার স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে এই সমস্ত বিষয়গুলো উত্থাপন করেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ। বিকেল চারটের সময় স্পিকার ওম বিড়লা সমস্ত দলের ফ্লোর লিডারদের নিয়ে বৈঠক করেন। মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে লগইন, পাসওয়ার্ড দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করেছে মোদি সরকার। অথচ বিজেপি সাংসদ আজ যে দুজনকে পাস দিয়েছিলেন, যাঁরা সংসদে এত বড় ঘটনা ঘটালো। সেটা কি নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন তোলে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে? তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টাকে ধামা-চাপা দিতে মরিয়া বিজেপি সরকার, অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা।

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...