মামলা লড়তে ২৭ লক্ষ টাকা নেন বিকাশরঞ্জন: কুণালের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ SLST চাকরিপ্রার্থীদের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চেষ্টাতে ২০১৬ সালে SLST-র কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার ১৬০০ শূন্যপদ তৈরি হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশপত্রও তৈরি হয়। কিন্তু মামলার ফাঁসে আটকে যায় সব। এই নিয়ে দরবার করতেই শনিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghsoh) কাছে যান SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। আর সেখানেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, দুপক্ষের থেকেই মামলা লড়তে টাকা নিয়েছেন আইনজীবী তথা বামনেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ কুণালের মত, ”আপনারা এঁদের থেকে দূরে থাকুন। চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

শনিবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে দেখা করতে যান ১৬ জনের এক প্রতিনিধিদল। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ”মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আমাদের জন্য শূন্যপদ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সমস্ত রাস্তা পরিষ্কার ছিল। কিন্তু তার পরও আমরা যোগ দিতে পারিনি। আমরা কদিন অপেক্ষা করব আর? সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের কতজনের কত কাজ আটকে রয়েছে আমরা চাকরি পাইনি বলে।” তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। মামলা করে নিয়োগ আটকে দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (BikashRanjan Bhattacharya) দিকে অভিযোগের তির তাঁদের। তাঁদের বক্তব্য, মামলা লড়তে রীতিমতো রেট চার্ট বেঁধে দেওয়া ছিল। শারীরশিক্ষার জন্য ১ লক্ষ ১০টাকা, কর্মশিক্ষার জন্য ৭০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মোট ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁদের হয়ে মামলা লড়ার পাশাপাশি যাঁরা চাকরি পাওয়া আটকতে মামলা করেছেন তাঁদের হয়েও লড়ছেন বিকাশ ও তাঁর জুনিয়াররা। ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

অভিযোগ শুনে তীব্র কটাক্ষ কুণালের। তিনি বলেন, এটাই কি সর্বহারার নেতা! গরিবের নেতা! ২৭লক্ষ টাকা নিয়ে মামলা। কুণাল জানান, “কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করেছেন। আমি ধর্না মঞ্চে গেলে ডেপুটেশন দেয়। সেই ডেপুটেশন আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হোয়াস্‌অ্যাপে পাঠিয়ে দিই। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।“ তাঁর অনুরোধ, ”চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

Previous articleগরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি, মৃত ২
Next articleযাদবপুরের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত শিক্ষামন্ত্রী, থাকছেন না রাজ্যপাল