একই দলের দুই দল। কোন দল বৈধ তা জানার কোনও উপায় নেই।দল নির্বাচন করতে শেষ মাঠে নামাতে হলো পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহার দলকে নিয়ে। বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি এবং সচিবের মধ্যে ঝামেলার জেরেই তৈরি হয় এই অদ্ভুত পরিস্থিতি। অবস্থা সামলাতে আসরে নামে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৯.৩০ থেকে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জির ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১১টায়।

বিহার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি রাকেশ তিওয়ারি এবং সচিব অমিত কুমারের মধ্যে ঝামেলার জেরে ঘটে এমন পরিস্থিতি। ম্যাচের প্রথম দিন দু’টি দল পৌঁছে যায় পাটনায়। সভাপতি এবং সচিব দু’জনেরই দাবি তাঁর বেছে নেওয়া দলকেই খেলতে দিতে হবে। এই নিয়ে রাকেশ বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের যোগ্যতা অনুযায়ী দল বেছেছি। বিহারের সমস্ত সেরা প্রতিভাকে নিয়ে এই দল তৈরি হয়েছে। আমাদের দলে আইপিএল-এ সুযোগ পাওয়া শাকিব হুসেন আছে। ১২ বছরের একটা ছেলে অভিষেক করল রঞ্জিতে। দুর্দান্ত প্রতিভা ছেলেটার। অন্য যে দলটি খেলতে এসেছিল, সেটা বেছে নিয়েছেন সচিব। এই দল আসল নয়।’

সভাপতিকে একহাত নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন সচিব অমিত। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জিতে এসেছি। আমিই বিহার ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচিত সচিব। এক জন সচিবকে এই ভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত, সভাপতি কী করে দল বেছে নিতে পারেন? কখনও শুনেছেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি দল ঘোষণা করছেন? সব সময় সচিব জয় শাহর সইই থাকে নির্বাচিত দলের নামের তালিকায়।’

কর্তাদের ঝামেলার মাঝেও মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করে বিহার। টস জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠায় তারা। প্রথম দিনের শেষে ২৫১ রানেই শেষ মুম্বই। বিহারের অভিজ্ঞ পেসার বীরপ্রতাপ সিংহ ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন।দ্বিতীয় দিনে জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান বিহারের।

আরও পড়ুন-অজিদের বিরুদ্ধে ৪উইকেট নিয়ে বিপাকে তিতাস, কিন্তু কেন?
